অ্যান্টার্কটিকায় ৩৬০০ কিমি হাঁটছেন দুই অভিযাত্রী!

অ্যান্টার্কটিকায় ৩৬০০ কিমি হাঁটছেন দুই অভিযাত্রী!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১

কোমরের সঙ্গে বাঁধা ২০০ কিলোগ্রাম ওজনের একটা স্লেজ গাড়ি। তাপমাত্রা মাইনাস ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার মধ্যেই ৩৬০০ কিলোমিটার হাঁটা দুই অভিযাত্রীর! জাস্টিন প্যাকশো আর জেমি ফেসার। অ্যান্টার্কটিকার এক উপকূল থেকে রওনা হয়েছেন দু’জনে এক মাস আগে। শেষ করবেন আর এক উপকূলে। গোটা অ্যান্টার্কটিকার মাঝখান দিয়ে হেঁটে যাবেন তারা। বরফের সমুদ্র দিয়ে তাদের এই অভিযানকে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি থেকে বলা হয়েছে ‘কাইটসার্ফ ট্রেকিং’! একটা ঘুড়ি যেভাবে ওড়ে আকাশে অনেকটা সেভাবে চলেছেন দুই অভিযাত্রী। এই অভিযানের আসল উদ্দেশ্য নাসার সঙ্গে কাজ করে দু’জনেই অদূর ভবিষ্যতে যাবেন মহাকাশে, মঙ্গল এবং চাঁদে। তারই প্রস্তুতি এটা। মহাকাশে, অন্য গ্রহের চরম আবহাওয়ার সঙ্গে কিছুটা হলেও মিল থাকে আন্টার্কটিকার মধ্যপ্রদেশের। তাই দু’জনে মাঝখান দিয়ে হাঁটছেন। তবে এই ট্রেকিং করার সময় আন্টার্কটিকার মাঝখানের অংশে পরিবেশ ও আবহাওয়ার চরিত্র সম্পর্কেও দুই অভিযাত্রী তথ্য সংগ্রহ করবেন বলে নাসা জানিয়েছে।
জাস্টিন প্যাকশো ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর প্রাক্তন অফিসার। নৌবাইচ প্রতিযোগিতায় দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। জয় করেছেন মাউন্ট এভারেস্ট, তার সঙ্গে একাধিকবার নর্থ পোল আর সাউথ পোল অভিযানে গিয়েছেন। অন্যদিকে, জেমি ফেসারের একটি বিরল ইতিহাস রয়েছে। তার জন্ম বিশ্বের প্রথম হিমায়িত ভ্রুণ থেকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের এক অলৌকিক ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত। ২০১৭-য় অ্যান্টার্কটিকা পায়ে হেঁটে অতিক্রম করা প্রথম ব্রিটিশ অভিযাত্রীদের অন্যতম সদস্য ছিলেন ফেসার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × four =