অ্যালজাইমার্সের ওষুধ?

অ্যালজাইমার্সের ওষুধ?

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

অ্যালজাইমার্সের উপসর্গ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এমন একটা ওষুধ রয়েছে, যা জরুরি পরিস্থিতিতে নিরাপদে মানুষের শরীরের ক্রিয়াকলাপ থামিয়ে রাখার ক্ষমতা রাখে। এতে চিকিৎসক রোগীর চিকিৎসার জন্য হাতে মূল্যবান কিছুটা সময় পেয়ে যান। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির, ওয়েস ইনস্টিটিউট ফর বায়োলজিকালি ইন্সপায়ার্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এর গবেষকদের নেতৃত্বে ব্যাঙাচির ওপর এই ওষুধ ডনপেজিল হাইড্রোক্লোরাইড (ডিএনপি) পরীক্ষা করা হয়েছে। এটা ব্যাঙাচিকে টর্পোর নামে সুপ্ত অবস্থায় নিয়ে গেছে। প্রকৃতিতে কিছু প্রজাতি এমন ঘুমের পর্যায়ে যায় যাকে অস্থায়ী হাইবারনেশন বা শীতঘুম বলে। ইংরেজিতে এটা টর্পোর নামে পরিচিত। শীতকালীন হাইবারনেশনের মতো, টর্পোরের সংক্ষিপ্ত বিশ্রাম সাধারণত খাবারের প্রাপ্তি কম হলে ঘটে। টর্পোর অনিচ্ছাকৃত এবং দিনের বেলা মাত্র কয়েক ঘন্টা স্থায়ী হয়। এতে শক্তি সংরক্ষণের জন্য শরীরের তাপমাত্রা এবং বিপাকীয় ক্রিয়াকলাপ উল্লেখযোগ্য হ্রাস পায়। গুরুতর অবস্থার আঘাত, দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা কমানোর রোগীর শরীরকে ঠাণ্ডা করে তার বিপাকীয় প্রক্রিয়াগুলো ধীর করার চিকিৎসা ব্যবস্থা শুধুমাত্র ভালো রিসোর্সড হাসপাতালে থাকে। তবে মানুষের শরীরে টর্পোর-অবস্থা সৃষ্টি করলে ডাক্তাররা রোগীর প্রাণ বাঁচানোর জন্য খানিকটা সময় পান। ডিএনপি নামে ওষুধ এফডিএ-র ছাড়পত্র আগেই পেয়েছে। কোনো ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তার অঙ্গের ক্ষতি হওয়া আটকাতে এই ওষুধ বেশ কার্যকরী।
এর আগে এসএনসি ৮০ নামে অন্য একটা ওষুধেও ব্যাঙাচিদের টর্পোর অবস্থা সৃষ্টি করা গিয়েছিল। কিন্তু এর থেকে খিঁচুনি হওয়ার কারণে মানুষের ওপর এটা প্রয়োগ করা সম্ভব হয়নি। এর থেকেই পরীক্ষার মাধ্যমে ডিএনপি আবিষ্কার করা গেছে। আগে ডিএনপি- থেকে ব্যাঙাচির শরীরে বিষাক্ততা সৃষ্টি হচ্ছিল, ৪ ঘণ্টার বেশি টর্পোর অবস্থা সৃষ্টি হলে ব্যাঙাচিগুলো আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছিলনা। কিন্তু এই ওষুধ ন্যানো-ইমালসানে রাখার পর বিষাক্ত অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া গেল। এটা একটা ছোটো ক্যাপসুল, যার একদিকের ঢাকায় অন্য তরল আর একদিকে ডিএনপি থাকে। এতে মস্তিষ্কে বেশি ঘনত্বের ওষুধ গেলেও শরীরে ধীরে ধীরে এই ওষুধ নিয়ন্ত্রিত ভাবে মুক্ত হয়। চিকিৎসার জন্য মূল্যবান সময় পাওয়ার জন্য ডিএনপি ব্যবহার শুরু করে মানুষকে হাইবারনেশনে নিয়ে যাওয়া এখনও একটা দীর্ঘ রাস্তা। কিন্তু বিদ্যমান ওষুধ এমনভাবে ব্যবহার করা চিকিৎসাবিজ্ঞানে বেশ আশাপ্রদ। আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির এসিএস ন্যানোতে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে।