আগ্নেয়গিরির শ্বাসপ্রশ্বাস মেপে পূর্বাভাস!

আগ্নেয়গিরির শ্বাসপ্রশ্বাস মেপে পূর্বাভাস!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ২৩ নভেম্বর, ২০২২

আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ কখন হবে সেটা আগে থেকে আন্দাজ করাটা বেশ কঠিন একটা কাজ। কিন্তু আমাদের উচিত আসন্ন বিপদ এড়ানোর জন্যে পূর্বাভাসের পদ্ধতিগুলো আরও উন্নত করা। যাতে তড়িঘড়ি সাবধান করে সুরক্ষিত করা যায় মানুষকে।
ভূমিকম্প অথবা পৃথিবীপৃষ্ঠে ফাটলের চরিত্র দেখে আসন্ন বিস্ফোরণ আন্দাজ করার পদ্ধতিটা চিরাচরিত। কিন্তু সমস্ত অগ্ন্যুৎপাতের আগে এইধরনের লক্ষণ কিন্তু দেখা যায় না।
টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক দল সম্পূর্ণ নতুন এক পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। ম্যাগমার পরিবর্তন আর অগ্ন্যুৎপাতের মধ্যে সম্পর্ক আছে। সেটা নিয়ে উন্নততর পদ্ধতি তৈরি হল। এতে ফিউমারোল দিয়ে নির্গত গ্যাস আর বাষ্পের মধ্যে বিশেষ রাসায়নিকের আইসোটোপের অনুপাত কেমন থাকে সেটা খতিয়ে দেখা হয়।
রিসার্চ সেন্টার ফর আডভান্সড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক হিরোচিকা সুমিনো বলছেন, আগ্নেয়গিরিকে তুলনা করা যাক মানুষের শরীরের সাথে। যেমন বুকের শব্দ আর শরীরের মাপ নেওয়া হয় তেমনই ভূমিকম্প বা ফাটল থেকেও বিস্ফোরণের আন্দাজ মেলে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যের সমস্যার জন্যে আচমকা শব্দ তৈরি হয় বুকের মধ্যে অথবা হঠাৎ করে ওজন বেড়ে যায় রোগীর। কিন্তু অন্যদিকে রাসায়নিক আর আইসোটোপ বিশ্লেষণ করলে সেটা শ্বাস বা রক্ত পরীক্ষার মতো ব্যাপার।
এই পদ্ধতিতে এমন যৌগের পরীক্ষা করা হচ্ছে যেগুলো সরাসরি ম্যাগমা থেকে সৃষ্টি হওয়া। সুতরাং আগ্নেয়গিরির ভেতরে ম্যাগমার মধ্যে কী কী পরিবর্তন ঘটছে সেটা আইসোটোপের অনুপাতের পার্থক্য দিয়েই বোঝা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 5 =