আজব বিবর্তন – কয়েক দশকের মধ্যে গজিয়ে উঠল সাপের চোয়াল

আজব বিবর্তন – কয়েক দশকের মধ্যে গজিয়ে উঠল সাপের চোয়াল

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২০ জানুয়ারী, ২০২৩

বিবর্তন যে বেশ অনেকখানি সময়ের ব্যাপার, সেটা মোটেই পরোয়া করছে না এই অস্ট্রেলীয় সাপ। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার একটা ছোট্ট দ্বীপে বসবাসকারী টাইগার সাপের কথা হচ্ছে। বড়ো শিকার ধরার জন্যে তাদের খুলির হাড় বেড়েছে, অর্থাৎ সোজা ভাষায় বললে নতুন করে চোয়াল গজিয়েছে এই সাপের। কিন্তু তাজ্জবের কথা এই যে উপকূল থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার ভেতরে মূল ভূখণ্ডে টাইগার সাপের এই দক্ষতা নেই।
অ্যাডিলেড বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবাশ্মবিদ ডঃ আলেসান্দ্রো পালসির মতে, বিষয়টা ঠিক খেলোয়াড়দের শরীরের মতো। কঠোর অনুশীলনে তাদের যেমন শরীরের পরিবর্তন ঘটে, তেমনই কার্নাক দ্বীপের টাইগার সাপের ক্ষেত্রেও হচ্ছে। শিকারের তাগিদেই তাদের চোয়ালের হাড় পাল্টে গেছে।
কার্নাক দ্বীপের এই টাইগার সাপের বিজ্ঞানসম্মত নাম নোটেচিজ স্কুট্যাটাস। এদের মূল খাবার হচ্ছে সামুদ্রিক পাখিদের ছানা। এই পাখির ছানা আকারে বেশ বড়ো। অন্যদিকে মূল ভূখণ্ডের টাইগার সাপেরা ব্যাঙ বা ঐ জাতীয় ছোট শিকারেই অভ্যস্ত।
যদিও এটাকে বিবর্তন বলা যায় কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত নন ডঃ পালসি। কার্নাক দ্বীপের টাইগার সাপের ক্ষেত্রে চোয়াল গজানোর ঘটনাটা ‘ডায়েট-ইন্ডিউসড ফেনোটাইপিক প্লাস্টিসিটি’। খুলির হাড়ের বদলটা ঘটে সাপের জীবদ্দশার মধ্যেই। জন্ম থেকেই বড়ো শিকার ধরার অভ্যেস থেকেই ধীরে ধীরে চোয়ালের বিকাশ ঘটে। কিন্তু এটা সীমাবদ্ধ ঐ বিশেষ দ্বীপের টাইগার সাপের মধ্যেই। এই বৈশিষ্ট্য জন্মসূত্রে সঞ্চারিতও হয়।