আবহাওয়ার চরম পরিবর্তনে বাঁকুড়ার আমও অসহায়!

আবহাওয়ার চরম পরিবর্তনে বাঁকুড়ার আমও অসহায়!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৩০ মে, ২০২২

ছেদ পড়ল দীর্ঘ এক দশকের ধারাবাহিকতায়। বাঁকুড়ার বিখ্যাত আম্রপালির ফলনে এবার ৭৫ শতাংশ ঘাটতি। বিদেশে রফতানি তো দূরের কথা, এবার দেশের মানুষের কাছেও হয়তো অধরা থেকে যাবে আম্রপালির স্বাদ।
গত প্রায় এক দশক সময় ধরে রাজ্যের পাশাপাশি দেশের আম মানচিত্রেও উজ্বল রুক্ষ বাঁকুড়ার আম্রপালি আম। দেশের বাজারের সঙ্গে সেই আম বিদেশের বাজারেও যেত। কিন্তু আবহাওয়ার চরম পরিবর্তনে এবার সেই আমের ফলনেও ঘাটতি। দীর্ঘস্থায়ী শীত ও অসময়ের ঘন বৃষ্টিতে এই আমের মুকুল কম এসেছিল। কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দিল একাধিক কালবৈশাখী। সারা বছর আম গাছের পরিচর্যা করে মরসুমে ফসল না পাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই বড়সড় লোকসানের মুখে পড়েছেন জেলার কয়েক হাজার আমচাষি। একসময় আম চাষে একাধিপত্য ছিল মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলার। ২০০৬ সালে বাঁকুড়ায় বাণিজ্যিক ভাবে শুরু হয় আম চাষ। বাগান তৈরি হয়েছিল আম্রপালি ও মল্লিকা এই দুই প্রজাতির আমের। তবে মান ভালো হওয়ায় আম্রপালি আম দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়। দেশের সীমা ছাড়িয়ে এই আমের স্বাদে মজে যান কাতার, কুয়েত ও দুবাই এর আম জনতাও। বাঁকুড়া জেলা উদ্যান পালন দফতরের ফিল্ড অফিসার সঞ্জয় সেনগুপ্ত জানিয়েছেন বাঁকুড়া জুড়ে বর্তমানে সাড়ে সাত হাজার হেক্টর আম বাগানে প্রতি বছর প্রায় ৭৫ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়। বাঁকুড়ার চাহিদা মিটিয়ে তা রফতানি হয় দেশের বিভিন্ন রাজ্য ও মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলিতেও। কিন্তু এবছর উৎপাদন প্রবলভাবে কম হওয়ায় বিদেশের বাজারে আম রফতানির একের পর এক বরাত সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে জেলার উদ্যান পালন দফতর।