আগামি জুলাই থেকে ভারতে প্লাস্টিক উৎপাদন ও প্লাস্টিক-জাত দ্রব্য ব্যবহারের ওপর আরও কড়া নিষেধাজ্ঞা আনার পরিকল্পনা করেছে সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড। কড়া নিষেধাজ্ঞা মানে, সিঙ্গল-ইউজ প্লাস্টিককে সম্পূর্ণভাবে মনুষ্য সমাজ থেকে বহিষ্কার করতে চাইছে তারা। সফল হবে কি না তা সময়ই বলবে। কিন্তু একইসঙ্গে প্লাস্টিকের বিকল্প আবিষ্কার করে ফেললেন রুটজার্স ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। বিশেষ অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল উদ্ভিদ-ভিত্তিক আবরণে একটি খাদ্য-মোড়ক তারা তৈরি করেছেন যা সম্পূর্ণভাবে প্লস্টিকের বিকল্প হতে পারে।
এই পদ্ধতিতে তৈরি খাবারের চারপাশে আবৃত প্লাস্টিকের বিকল্প মোড়কটি বায়োপলিমার ও পলিস্যাকারাইড উপাদানের মিশ্রণে তৈরি একটি ফাইবারের স্প্রে-র মত। এই ফাইবারগুলি প্রাকৃতিকভাবে ঘটতে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল উপাদান-থাইম তেল, সাইট্রিক অ্যাসিড ও নিসিন দ্বারা সজ্জিত। গবেষকরা দেখেছেন এই খাদ্য মোড়কটি লিস্টেরিয়া ও ইকোলির মত ব্যাকটিরিয়ার আগ্রাসনকে প্রতিরোধ করতে পারছে। আর খাবারের মোড়ক তৈরির ক্ষেত্রে এমন একটি ডিভাইস ব্যবহার করা হচ্ছে যা এককথায় হেয়ার-ড্রায়ারের মত। একটি অ্যাভোকাডো ফল এই খাদ্য মোড়কে মুড়িয়ে রাখার পর দেখা গিয়েছে ফলটির জীবন প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই মোড়কের আরও এক কার্যকারিতা দেখা গিয়েছে। একে জল দিয়ে ধুয়েও ফেলা যায়। মানে, ব্যবহারকারী এই আবরণ ধুয়ে পরের দিনও ব্যবহার করতে পারবেন। গবেষকরা জানিয়েছেন এই মোড়কের আরও এক বড় সুফল পাওয়া যাবে। এটা শুধু প্লস্টিকের বিকল্প হয়ে খাবারের মোড়কের কাজই করবে না, এটিকে সেন্সর হিসেবে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন স্মার্ট উপকরণের প্রোগ্রামিং পর্যন্ত করতে পারেন। ব্যাকটিরিয়ার স্ট্রেনগুলিকে ধ্বংস করা যেতে পারে যাতে সংশ্লিষ্ট খাবারটি আরও সুরক্ষিত থাকে।
তবে এই মোড়কের প্যাকেজিং বিশ্বজুড়ে আদৌ সম্ভব কি না, বা কবে থেকে এই মোড়ক সাধারণ মানুষের কাছে ব্যবহারযোগ্য হতে পারে সেই সম্পর্কে গবেষকরা কিছু জানাননি।