আমাজনের অরণ্য ধ্বংস প্রতিরোধে প্রযুক্তি

আমাজনের অরণ্য ধ্বংস প্রতিরোধে প্রযুক্তি

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৮ মার্চ, ২০২২

অরণ্য ধ্বংস, লগিং, অবৈধ খনন, রাতের অন্ধকারে গাছ কেটে, প্রাণীদের মেরে চোরাকারবারীদের অবাধে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া-বহুযুগ ধরে এই সমস্ত ঘটনায় বিপন্ন আমাজনের দুর্গম জঙ্গল। বিপন্ন বিশ্বও। এবং সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে ব্রাজিলের বর্তমান রাষ্ট্রপতি জের বলসোনারোর আমলে আমাজন ধ্বংসের পরিমাণ আগের তুলনায় বেড়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় আমাজনে হয়ে যাওয়া যাবতীয় অসাধু কাজের বিরুধে একজোট হয়েছেন ব্রাজিলের পারা প্রদেশের মুন্ডুরুকু উপজাতির মহিলারা। তাদের লড়াইয়ে অন্যতম হাতিয়ার, ড্রোন ক্যামেরা, সিসিটিভি, মোবাইল নেটওয়ার্ক, সোশ্যাল মিডিয়া। আর তাদের নেতৃত্বে রয়েছেন তিন মহিলা, আলদিকা আকাই, রিলসেলিয়া আকাই এবং বেকা মুন্ডুরুকু। এর মধ্যে আলদিকা আকাই দীর্ঘদিন শহরাঞ্চলে ছিলেন, পড়াশুনোও করেছেন প্রযুক্তি নিয়ে। মূলত তার হাত ধরেই ২০১৯-এ আমাজনের ঘন অরণ্যে প্রযুক্তির প্রবেশ ঘটেছিল। আমাজনের বিস্তৃত এক অঞ্চল প্রাচীন জনগোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত। সেই অঞ্চল জুড়ে আলদিকারা বিছিয়ে রেখেছেন সিসিটিভি-র জাল। তার সঙ্গে বিশাল অঞ্চল জুড়ে সেই জঙ্গলের মাথায়, আকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে ড্রোন ক্যামেরা। অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ হলেই বা লগিং বা রাতের অন্ধকার চোরাকারবারীদের কোনও কাজ এখন মুহুর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় পৌঁছে যাচ্ছে আলরিকা আকাইদের সৌজন্যে। আলরিকাদের উদ্দেশ্য, বিশ্বের প্রভাবশালী ও ক্ষমতাশালী মানুষদের কাছে আমাজন নিধনের ছবি পৌঁছে দেওয়া। গ্লাসগোয় কপ-২৬ সম্মেলনে আলরিকাদের তোলা ভিডিওই ঝড় তুলেছিল। ২০১৯-এ ব্রাজিলের জাতীয় মাইনিং এজেন্সি আমাজনের ভেতর ২৭টি খনি তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু গ্লাসগোয় আলরিকাদের তোলা অবৈধ খনি তৈরির ছবি ঝড় তোলার পর আন্তর্জাতিক চাপের সম্মুখীন হয়ে ব্রাজিল সরকার বাধ্য হয়েছে সেগুলো বন্ধ করে দিতে!