আমাজনে ডাইনোসর?

আমাজনে ডাইনোসর?

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

কল্পনা করুন, আমাজনের ঘন সবুজ জঙ্গলে এবং দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার ক্রান্তীয় অঞ্চলে প্রাচীন ডাইনোসরের দেহাবশেষ লুকিয়ে আছে। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন এর গবেষকরা এরকমই একটি রোমাঞ্চকর ধারণা করেছেন। তাঁরা বলছেন, বিশ্বের প্রথম ডাইনোসরের অবশিষ্টাংশ এখনও এই অঞ্চলগুলিতে সমাহিত থাকতে পারে! এই অঞ্চলগুলি প্রচুর জীববৈচিত্র্যপূর্ণ কিন্তু, জীবাশ্মবিজ্ঞানের তথ্যের দিক দিয়ে বেশিরভাগই এখনো অন্বেষণের আওতায় আসেনি । কে জানে গভীর জঙ্গল এবং কাদাযুক্ত নদীর তীরগুলিতে প্রাচীন দানবদের জীবাশ্ম হাড়গুলি বিশ্রাম নিচ্ছে কিনা?
বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে প্রায় দশ লক্ষ বছর আগে যখন ডাইনোসরের উদ্ভব হয়েছিল, তখন এই অঞ্চলগুলি আজকের চেয়ে আরও বেশি বিচ্ছিন্ন ছিল। এই বিচ্ছিন্নতা সেখানে সম্ভবত একটি অনন্য পরিবেশ তৈরি করেছিল আর সেখানেই প্রাথমিক সময়কালের ডাইনোসররা বিকশিত হয়েছিল। হয়ত সময়ের সাথে সাথে, ঘন উদ্ভিদ এবং কঠোর আবহাওয়া পরিস্থিতি তাদের অবশিষ্টাংশ সংরক্ষণ করে রেখেছে। এই ডাইনোসরদের অবশিষ্টাংশগুলি আবিষ্কার করা গেলে ইতিহাসের বইগুলিকে পুনর্লিখিত করতে পারা যাবে। তারা কীভাবে বাস করত, তাদের পরিবেশের সাথে কীভাবে খাপ খাইয়ে নিয়েছিল, সে সম্পর্কে নতুন অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করবে। উন্নত প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে জীবাশ্মবিদেরা ইতিমধ্যেই এই লুকিয়ে থাকা জীবাশ্মগুলি আবিষ্কার করার জন্য অভিযান পরিকল্পনা করছেন।
এই হারানো দানবদের জীবাশ্ম সন্ধান করা সহজ হবে না। ঘন বন, অননুমেয় আবহাওয়া এবং কঠোর পরিবেশ এই যাত্রাকে রোমাঞ্চকর কিন্তু কঠিন করে তোলে। কিন্তু যুগান্তকারী আবিষ্কারের প্রতিশ্রুতি এই সাহসী গবেষকদের অগ্রসর হতে পরিচালিত করছে।
কে জানে? হয়ত পরবর্তী বৃহৎ আকারের ডাইনোসরের আবিষ্কারটি আমাজনের অন্তস্তল বা আফ্রিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলি থেকে আসতে পারে। তাই ভবিষ্যতের খবরগুলির জন্য আপনার চোখ খোলা রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + eleven =