আমেরিকার বাঙালি বিজ্ঞানীর বাংলার কৃষি উন্নয়নের চর্চা

আমেরিকার বাঙালি বিজ্ঞানীর বাংলার কৃষি উন্নয়নের চর্চা

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌।
Posted on ৪ জুলাই, ২০২২

বিজ্ঞানী বিশ্বরূপ ঘোষ। জন্ম পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা মহকুমায় এক কৃষক পরিবারে। বর্তমানে তিনি আমেরিকাবাসী। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছেন বায়োকেমিস্ট্রিতে। ২০০৯-এ আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অফ মিনেসোটাতে উচ্চতর গবেষণার জন্য সুযোগ পান। তারপর টেম্পল ইউনিভার্সিটি, জেফারসন ইউনিভার্সিটি, এবং বর্তমানে আমেরিকার বিখ্যাত ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভানিয়াতে সিনিয়র রিসার্চ ইনভেস্টিগেটর হিসাবে কর্মরত। নিউরোসায়েন্সের একাধিক বিষয়ের ওপর তিনি গবেষণা করেছেন।
কিন্তু প্রবাসে থাকলেও বিশ্বরূপ ঘোষের মন পড়েছিল বাংলায়। তার অন্যতম ভাবনা ছিল কীভাবে বাংলায় স্বাস্থ্যচর্চা এবং একইসঙ্গে কৃষি ক্ষেত্রকে আরও উন্নত করা যায়। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে বাংলার স্বাস্থ্যবিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করার পর ইউটিউব দেখে দেখে তৈরি করেছিলেন স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ওয়েবসাইট। বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্যসমৃদ্ধ ২০০ ফেসবুক লাইভ করেছেন, ব্লগ লিখেছেন, স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের অগণিত বাংলা ভিডিও তৈরি করেছেন।
করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে মানুষ যখন আরও বেশি দিশাহারা তখনও আমেরিকা থেকেই বাংলার মানুষকে পরিষেবা দিয়েছেন! তিনি বেতন দিয়ে ৫ জনের দল তৈরি করে মাত্র ৭ দিনে ফ্রি টেলিমেডিসিন ওয়েবসাইট করেছিলেন। তৈরি করেছিলেন ইনফরমেশন সেন্টার। বহু মানুষ ফোন করে অ্যাম্বুলেন্স, অক্সিজেন, হোম ডেলিভারির ইনফরমেশন পেয়েছেন। একটা ডেটাবেসও তৈরি করেছিলেন। বহু মানবিক চিকিৎসকও অবশ্য সেই সময় ওর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এখানেই শেষ নয়, নিজের অর্জিত মূলধন খরচ করে বিশ্বরূপবাবু বাংলায় গড়ে তুলেছেন দুটি স্টার্ট আপ। নিউক্রাড হেলথ হাব ইন্ডিয়া আর নিউক্রাড এগ্রি ফার্ম হেলথ এলএলপি। ভারতে টেলিমেডিসিন প্লাটফর্ম তৈরির ক্ষেত্রে বিশ্বরূপবাবুর এ এক অসামান্য অবদান। বিশেষজ্ঞরাও বলেন আগামীদিনে ডিজিটাল হেলথ প্লাটফর্মের মাধ্যমে কম করে ৭০% মানুষের চিকিৎসা সম্ভব। রাজ্য সরকারও এব্যাপারে গুরুত্ব দিয়েছে। তাতে সাফল্যও মিলেছে।