ইংল্যান্ড আক্রান্ত জলীয় দূষণে

ইংল্যান্ড আক্রান্ত জলীয় দূষণে

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৬ জানুয়ারী, ২০২২

প্রবলভাবে জলের দূষণে আক্রান্ত ইংল্যান্ড। দেশের সমস্ত নদীতে জমে হয়ে আছে মাইক্রোপ্লাস্টিক, সিমেন্টের পাতলা, ঘন কাদা, গাড়ির টায়ারের বর্জ্য এবং ভিজে টিসু পেপারের আবর্জনা। এককথায় বলা যায় ইংল্যান্ডের নদীগুলো পয়ঃনিষ্কাশনের ‘রাসয়নিক ককটেলে’ রূপান্তরিত হয়েছে!
পরিসংখ্যান জানাচ্ছে বর্তমানে ইংল্যান্ডে প্রত্যেক দিন খাওয়া, ধোয়া এবং রান্নার জন্য ১৪০ লিটার জল ব্যবহৃত হয়। ঘরে ব্যবহৃত জলে এখনও পর্যন্ত সেরকমভাবে দূষণ পাওয়া যায়নি। কিন্তু নদীর জলে যেভাবে দূষণ বাড়ছে তাতে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কিত খুব বেশিদিন আর নেই যেখানে ইংল্যান্ডে ঘরেও দূষণমুক্ত জল পেতে বাসিন্দাদের বাড়তি অর্থ খরচ করতে হবে। ওয়াইল্ড লাইফের দেওয়া পরিসংখ্যান জানিয়েছে, দেশে মোট বিশুদ্ধ জলে এখনই দূষণের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে ১০ শতাংশ। একইসঙ্গে ওয়েলস আর ইংল্যান্ডের জলাভূমিগুলোতে থাকা মাছ ও অন্য প্রাণীরা এই দূষণের ফলে ইতিমধ্যে বিলুপ্তির পথে! ৩৮ শতাংশ মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়ে ধরা পড়েছে তারা প্রত্যেকে অসুস্থ।
দূষণের মূল কারণগুলোও বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। জলের মোট দুষণের ৪০ শতাংশ সৃষ্টি হয়েছে কৃষি কাজে অতিরিক্ত পরিমাণে সার আর কীটনাশকের ব্যবহারে। ৩৫ শতাংশ দূষণের উৎপত্তি জলের কোম্পানিগুলোর অপরিশোধিত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা আর বাকি দূষণের সৃষ্টি রাস্তা, বাড়ি নির্মাণের বর্জ্য এবং তৈলজাত বর্জ্য থেকে। দেশ জুড়ে জলের এই দূষণে টনক নড়েছে সরকারের। ২০১৮-য় সরকারের তরফে ২৫ বছরের পরিবেশ বাঁচাও পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয় ২০২১-এ। পরিবেশ বাঁচাও কমিটির অডিট কমিটির চেয়ারম্যান ফিলিপ ডান জানিয়েছেন সরকার দেশের নদীগুলোর যথার্থ সুরক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ। নদীগুলোর ওপর যথার্থ নজর সরকার রাখতে পারেনি। কড়া সমালোচনায় সতর্ক হয়েছে সরকার। নদীগুলোকে দূষণমুক্ত করার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।