ইমারতি শিল্পের কার্বন নিঃসরণ আর শক্তি খরচ উভয়ই রেকর্ড ভাঙছে

ইমারতি শিল্পের কার্বন নিঃসরণ আর শক্তি খরচ উভয়ই রেকর্ড ভাঙছে

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ১০ নভেম্বর, ২০২২

বিদ্যুৎ খরচ বাঁচাতে অনেক নতুন নতুন কার্যকরী আবিষ্কার হয়েছে। কিন্তু বাড়ি তৈরি আর পরিকাঠামো ক্ষেত্র থেকে গ্রিনহাউস গ্যাসের দূষণের পরিমাণ মোটেই কমছে না। উপরন্তু ২০২১ সালের রিপোর্ট বলছে কার্বন দূষণের পরিমাণ ঐ বছরের শেষে রেকর্ড স্পর্শ করেছে।
ইউনাইটেড নেশনস এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম একটা নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ করলো কোপ২৭ সম্মেলনে। দেখা যাচ্ছে ২০২০ সালের তুলনায় ইমারতি ক্ষেত্রের নানা প্রয়োজনে শক্তির চাহিদা বেড়েছে ৪%। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই কারণে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণও বেড়েছে ৫%।
কোভিড মহামারীর সময়ে ইমারতি শিল্পের কাজকর্ম অনেকটাই কমে গিয়েছিল। ফলে সেই সময় শক্তি চাহিদা আর গ্রিনহাউস গ্যাসের দূষণও বেশ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু তারপর থেকে ২০২০/২১ সালে আবার যখন ঘরবাড়ি নির্মাণক্ষেত্র চাঙ্গা হয়ে উঠল, কুপ্রভাবগুলোও তরতর করে বাড়তে শুরু করে।
রিপোর্ট বলছে, পৃথিবীতে মোট শক্তির চাহিদার এক তৃতীয়াংশ দখল করে আছে ইমারতি ক্ষেত্র। ফলে স্বভাবতই সেই অনুপাতেই দূষণের জন্যেও দায়ী।
প্রতিবেদনের উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের সাধারণ সভাপতি অ্যান্টনিও গুতেরেস। তিনি বলছেন, ঘড়ির কাঁটা এগিয়েই চলেছে। নিজেদের জীবন বাঁচাতে আজ লড়াইয়ে সবাই। কিন্তু আমরা হেরে যাচ্ছি। গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ ক্রমশ বাড়ছে। পৃথিবীব্যাপী উষ্ণতাতেও লাগাম নেই। আমাদের গ্রহ খুব দ্রুত এমন একটা বিন্দুতে পৌঁছতে চলেছে যেখান থেকে জলবায়ুর সংকটকে আর উল্টোদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া যাবে না।