ইয়াস ফেরাচ্ছে দেশী মাছ

ইয়াস ফেরাচ্ছে দেশী মাছ

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২০ নভেম্বর, ২০২১

ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের ফলে লবণাক্ত জল ঢুকে উপকুলের বেশ কিছু পুকুরের চরিত্র নষ্ট করেছে স্থায়ীভাবে ভাবে। তাছাড়াও কয়েক কোটি টাকার মাছ ক্ষতি হয়েছিল মেদিনীপুরের চাষীদের। পুকুর উপচে পালিয়েছিল চাষ করা মাছ। তবে এই ইয়াসের ফলেই বহু হারাতে বসা দেশী মাছ ফিরে এসেছে। কীভাবে এমনটা সম্ভব হলো?
গবেষকরা মনে করছেন, ইয়াসে নদীর জল বিভিন্ন জলাভূমি তে ঢুকে, কোনো কোনো স্থানে দীর্ঘদিন জল জমে থাকার ফলে দেশী মাছের প্রজনন বেড়েছে বহুগুন। এই বিষয়কে মাথায় রেখেই কেন্দ্রীয় সরকারের ‘সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট অফ ফিশারিজ এডুকেশন’ চণ্ডীপুরের একটি সংস্থার সহযোগীতায় হারিয়ে যাওয়া বাংলার দেশী মাছের প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে- জানিয়েছেন ইন্সটিটিউটের মুখ্য মৎস্যবিজ্ঞানী বিজয়কালী মহাপাত্র। এর আগে গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া বা হারাতে বসা দেশী মাছের কৃত্রিম প্রজনন ও জিন উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছিলো বাংলাদেশ মৎস্য ইন্সটিটিউট। এবার ভারতেও এপার বাংলার ক্ষেত্রে দেশী মাছ প্রজননের উদ্যোগ দেখা গেল। মৎস্যবিজ্ঞানীরা জানান, সোনা ট্যাংরা, মিঠা ট্যাংরা বেলে, পায়রা চাঁদা, খয়রা পাঁকাল, বক মাছ – ইত্যাদির প্রজননের জন্যে জমা জল দরকার হয়। ইয়াসে যেহেতু জলা জল বেড়ে গেছে, তাই সেসব এলাকায় দশগুন পর্যন্ত বেশি প্রজনন হচ্ছে। মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র জানাচ্ছে মাছ বেড়েছে সুন্দরবনের খাঁড়িতে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের থাবা পেরিয়ে বিলুপ্তপ্রায় মাছ সংরক্ষণে সরকারি উদ্যোগ অর্থনৈতিক ভাবেও আশাপ্রদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × three =