বিশ্বে প্রথমবার। জার্মানিতে উদ্ভিদ থেকে কৃত্রিম কেরোসিন তৈরির উদ্যোগ। যাতে ভবিষ্যতে আবহাওয়া কেরোসিন তৈরির জ্বালানিতে দূষিত না হয়ে পড়ে! যুগ যুগ ধরে যা চলে আসছে মানুষের সমাজে। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, পৃথিবীর হাওয়ায় মোট কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ যা হয় তার ২.৫ শতাংশ আসে বিমান চলাচলের জ্বালানি থেকে। এছাড়াও অন্যান্য বিভিন্নরকমের পরিবহণ থেকেও বাতাসে মেশা কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ প্রচুর। কৃত্রিম জ্বালানিকে বিশেষজ্ঞরা ই-ফুয়েলও বলছেন। জার্মানির পরিবেশমন্ত্রী শেনজা শুলজ বলেছেন, “কয়লা, তেল, ন্যাচারাল গ্যাস পুড়িয়ে জ্বালানি তৈরির যুগ শেষ। কিন্তু বিমান চলাচল তো বন্ধ করে দেওয়া যায় না। তাই জীবাশ্ম জ্বালানিকে বাতিল করে পরিবর্ত জ্বালানি তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে যাতে অদূর ভবিষ্যতে জ্বালানি থেকে দূষণ না হয়।”
বিশেষ সেই উদ্ভিদের বীজ বপন করা হয়ে গিয়েছে। তারই উদ্বোধনে পরিবেশমন্ত্রীর বক্তব্য শুনেছে সংবাদমাধ্যম। সেই উদ্ভিদ থেকে তৈরি হবে কৃত্রিম জ্বালানি, হাইড্রোজেনের সঙ্গে মিশ্রণে। তারপর সেই তেলের পরিশোধন করে তৈরি হবে জেটের জ্বালানি। জানানো হয়েছে, উদ্ভিদের সহায়তায় তৈরি কৃত্রিম জ্বালানি থেকে আপাতত প্রত্যেক দিন ৩৩৬ গ্যালন তেল পাওয়া যাবে, মানে আট ব্যারেল তেল। এটা আগামী বছরের হিসেব যা পরে আরও বাড়তে পারে। একটা ছোট যাত্রীবাহী বিমানের জন্য যা যথেষ্ট বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, এই কৃত্রিম জ্বালানি ব্যবহার করে বিমান থেকে যে পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড বেরোবে সেটা এত কম যে, হিসেব করে বলা কঠিন!
জার্মানির যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই যুগান্তকারী কাজ করছে তার নাম অ্যাটমোসফিয়ার। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত এই কৃত্রিম জ্বালানির দাম কেরোসিনের তুলনায় অনেক বেশি হলেও ভবিষ্যতে কার্বন করমুক্ত এই জ্বালানির দাম কিন্তু অনেকটাই কমে যাবে এবং বিশ্ব জুড়ে এই প্রোডাক্টের চাহিদাও বাড়তে থাকবে।