মহাবিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে পৃথিবী! এরকম ইঙ্গিত দিয়েছেন সম্মিলিত রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সচিব আন্তোনিও গুতেরেস। প্রাক-শিল্প বিপ্লব, মানে গত ২৬৫ বছরে পৃথিবী এত উষ্ণ হয়নি। আবহাওয়াবিদ এবং বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন পৃথিবীর যেভাবে উষ্ণতা বাড়ছে তাতে চলতি শতকের শেষে পৃথিবীর তাপমাত্রার বৃদ্ধি ২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার চেয়েও বেশি হয়ে যেতে পারে! অথচ তাপমাত্রার এই বৃদ্ধি থাকা উচিত ছিল ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার চেয়ে কম! গুতেরেসের টুইটে শুধু আক্ষেপ। লিখেছেন, ‘৬ বছর আগে প্যারিসে বসে আমরা সকলে একটা শপথ নিয়েছিলাম যে, পৃথিবীর তাপমাত্রার বৃদ্ধির পরিমাণ ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে রাখার জন্য যা যা করার প্রয়োজন, করব। কিন্তু আমরা পারিনি। আমাদের হাতে সরঞ্জাম রয়েছে। কিন্তু লক্ষ্যপূরণ করতে পারিনি আমরা।’
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, চলতি শতকের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে, মানে ২০৩০-এর আশেপাশে, পৃথিবীর হাওয়া থেকে কার্বন-ডাই অক্সাইড নির্গমন অন্তত ৪৫ শতাংশ কমিয়ে ফেলতে হবে। বিজ্ঞানীদের হিসেব অনুযায়ী, ২০১০-এর পর থেকে এখনও পর্যন্ত কার্বন-ডাই অক্সাইড নির্গমনের জন্য ১৬ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে পৃথিবীর তাপমাত্রা। তারই প্রতিফলনে, শতাব্দীর শেষে তাপমাত্রার বৃদ্ধি পৌঁছবে ২.৭ ডিগ্রিতে। কার্বন-ডাই অক্সাইড নির্গমন ছাড়াও আবহাওয়াবিদরা তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দক্ষিণ ইউরোপে আর আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চল জুড়ে, আমাজনের জঙ্গলের অনেক অংশ জুড়ে দাবানলকেও দায়ী করেছেন। বলা হচ্ছে, তাপমাত্রার মাত্রারিক্ত বৃদ্ধির জন্যই চিন আর জার্মানিকে ভয়ঙ্কর বন্যার সাক্ষী হতে হয়েছে।