সম্মিলিত রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায়ও পৃথিবীর ক্রমবর্ধমান উষ্ণায়ন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সচিব আন্তোনিও গুতেরেস। আগামী মাসেই গ্লাসগোয় ক্লাইমেট কনফারেন্স। তার আগে সম্মিলিত রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের দাবি, “এই সভায় অনেকরকমের অর্থনৈতিক আলোচনা এবং তার রূপায়ণ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত বিশ্বের উষ্ণায়নের ক্রমশ বেড়ে যাওয়ার বিষয়টা। এবং এর জন্য যে পরিমাণ টাকার প্রয়োজন সেটা আমাদের সকলে মিলে দিতে হবে।” বরিস জনসনই জানিয়ে দেন, আবহাওয়া পরিবর্তন এবং বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রতিরোধে প্রত্যেক বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হবে এবং একইসঙ্গে তাঁর আশা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের ভাগের টাকাটা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেবে!
অক্সফ্যাম রিপোর্ট অবশ্য এই বিষয়ে পৃথিবীর ‘তথাকথিত’ বড়লোক দেশগুলোর ভূমিকা প্রকাশ্যে এনেছে। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, পৃথিবীর যে গরিব দেশগুলোর সকলে মিলে ৭৫ বিলিয়ন ডলার দিতে পারেনি, সেটা কিন্তু আমেরিকা, বৃটেন, চিনের মত বড়লোক দেশগুলো দেয় নি! ২০১৯-এ তাদের সম্মিলিত আর্থিক অনুদান ছিল ৮০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি! অক্সফ্যাম রিপোর্ট জানাচ্ছে, ২০২৫ পর্যন্তও ধনী দেশগুলো কিন্তু ১০০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে না। বড়জোর ৯৫ বিলিয়ন ডলার অনুদান তাদের কাছ থেকে পাওয়া যাবে।
বিশ্ব উষ্ণায়নের অন্যতম কারণ আবহাওয়ার দূষণ। দূষণ না কমাতে পারলে এই শতকের শেষে পৃথিবীর তাপমাত্রা ২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাওয়া আটকানো যাবে না বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।