উৎক্ষেপণের পরই আকাশে চুরমার SpaceX

উৎক্ষেপণের পরই আকাশে চুরমার SpaceX

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৫ মে, ২০২৩

আশা ছিল অনেক। সবচেয়ে ভারী রকেট নিয়ে উৎক্ষেপনের প্রস্তুতি ছিল ইলন মাস্কের সংস্থার তৈরি স্পেস এক্স রকেটের। নির্দিষ্ট সূচি মেনে উৎক্ষেপণ হলেও আকাশে উঠতেই গতিপথ পরিবর্তন করে চুরমার হয়ে যায় রকেটটা। স্পেস এক্সের তৈরি এই স্টারশিপ রকেটের ভাঙা অংশ নিয়েই এখন মাথাব্যথা বিশ্বের। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল স্ট্র‍্যাটোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বে চুরমার হলে এতটা চিন্তার বিষয় ছিল না। কিন্তু ট্রপোস্ফিয়ার সংলগ্ন এলাকায় ভেঙে পড়ায় চিন্তা বেড়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দক্ষিণ টেক্সাসের আকাশে পুঞ্জীভূত মেঘ দেখা যাচ্ছে যা আদতে স্টারশিপ রকেটের ভাঙা অংশ নিয়েই তৈরি হয়েছে। কারণ সেই মেঘ থেকে যখন বৃষ্টি হচ্ছে সেখানে রকেটের অংশের আণুবীক্ষণিক উপাদান রয়েছে। ফলে এগুলি যে আবহাওয়ায় বড় প্রভাব আনতে পারে সেই আশঙ্কা রয়েছে।
বোকা চিকা বিচের কাছে একটি জাতীয় বন্যপ্রাণী আশ্রয়স্থলের কাছে স্পেস এক্সের বিস্ফোরণ ঘটে। প্রায় ১.৪ হেক্টর এলাকাজুড়ে স্টারশিপের ধ্বংসাবশেষ ভেঙে পড়ে। যদিও এই ঘটনায় কোনও পাখি বা বন্যপ্রাণ মারা গিয়েছে এ তথ্য জানা যায়নি। যদিও পরিবেশবিদরা জানিয়েছেন বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের নিকটবর্তী এলাকায় এই কাজটি করা উচিত হয়নি।

প্রসঙ্গত, স্পেস এক্সের স্টারশিপ পণ্য ও মানুষ দুটোই মহাকাশে নিয়ে যেতে সক্ষম। তিন বছর আগে নাসার তরফে স্পেস এক্সের সঙ্গে মোটা টাকার চুক্তিও করা হয়। তাতে স্টারশিপকে ব্যবহারের চুক্তি হয়েছিল। নাসার আর্টেমিস মুন প্রোগ্রামে স্টারশিপকে ব্যবহারের পরিকল্পনাও ছিল। তবে এই অসফলতা নিয়ে ভাবিত নয় স্পেস এক্স। আগেই তারা জানিয়েছে, লঞ্চ প্যাড থেকে রকেট বেরিয়ে যাওয়াকেই তারা সাফল্য হিসাবে ধরে নিচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 − 3 =