কসমস পত্রিকা কথা বলেছিল দুজন নিউক্লিয়ার পদার্থবিদের সাথে। অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশানাল ইউনিভার্সিটির তরফ থেকে আন্ড্রু স্টাচবেরি আর কেনেথ বাল্ডুইন।
অস্ট্রেলিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ফিজিক্সের বার্ষিক সভার মাঝেই সময় বের করে সাক্ষাৎকার দেন ঐ দেশের বিখ্যাত দুজন নিউক্লিয়ার ফিজিসিস্ট। অবশ্যই উৎসাহের প্রাথমিক কারণ মার্কিন মুলুকে ব্যাপক সাফল্য পাওয়া নিউক্লীয় সংযোজন বিক্রিয়া, যেখানে আগের তুলনায় অনেকটা বেশি শক্তি উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত লরেন্স লিভারমোর ন্যাশানাল ল্যাবরেটরির সার্থক পরীক্ষা অনুসরণ করতে চাইছেন অস্ট্রেলীয় গবেষকরাও।
অধ্যাপক স্টাচবেরি বলছেন, এটা উত্তেজনা বটে কিন্তু অবাস্তব তো নয়। যদিও এখুনি বড়ো কিছু ভেবে না ফেলার জন্যেই অনুরোধ করছেন তিনি। কিছুদিনের মধ্যেই যে পৃথিবীর প্রত্যেকটা বাড়িতে বাড়িতে এই শক্তি সরবরাহ করা হবে, এমনটা একেবারেই নয়।
বরং নিউক্লীয় ফিউসান বিক্রিয়ার দক্ষতা আসলে কতটা সেটা বুঝে নেওয়ার পরীক্ষা ছিল এটা। এই শক্তি অবশ্যই ভবিষ্যতে পরিবেশবান্ধব শক্তির উৎস হিসেবে কাজে লাগবে। কয়েক যুগ ধরে এই কাজে নিয়োজিত হয়ে রয়েছেন অনেক দেশের বহু বিজ্ঞানী। কিন্তু নিউক্লীয় সংযোজনের শক্তিকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করার জন্য আরও একটা দশক কমপক্ষে অপেক্ষা করতেই হবে।