ভারত এই প্রথম সৌর অভিযান পাঠাচ্ছে- আদিত্য এল।ওয়ান। এবং ব্যার্থতার পর আর একবার চাঁদের মাটি ছোঁয়ার বাসনা নিয়ে রওনা হবে চন্দ্রযান-৩। মহাকাশে ভারতের এই দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নজরে রাখবে – ‘ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি’। এসা (ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি) জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা, স্পেনে বসানো তাদের ডিপ স্পেস নেটওয়ার্কের অ্যান্টেনাগুলির মাধ্যমে মহাকাশে এই দুটি মহাকাশযান অভিযানের প্রতিটি মুহুর্তের ওপর নজর রাখবে। কখন কোন সময়ে মহাকাশযানদুটিকে কী গতিতে ছোটাতে হবে, কোন পথ ধরে কী ভাবে পৌঁছতে হবে নির্ভুল গন্তব্যে তা আগাম।জানিয়ে দেবে ডিপ স্পেস নেটওয়ার্ক। মহাকাশ থেকে এই দুটি মহাকাশযানের পাঠানো যাবতীয় তথ্য, ছবি ও সিগন্যাল যাতে নির্বিঘ্নে পৌঁছতে পারে গ্রাউন্ড কন্ট্রোলে তার উপরেও নজর রাখবে ডিপ স্পেস নেটওয়ার্কের অ্যান্টেনাগুলি।
এসার তরফে জানানো হয়েছে ভারতের স্বাধীনতা প্রাপ্তির মাস আগস্টেই চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপনের কথা ভেবে রেখেছে ইসরো। আর সৌরযান আদিত্য এল অয়ান উৎক্ষেপন হওয়ার কথা এবছরের অক্টোবর বা নভেম্বরে। এসার সার্ভিস ম্যানেজার এবং ইসরোর তরফে এসার লিয়াঁজো অফিসার রমেশ চেল্লাথুরাই জানিয়েছেন, আদিত্য এলওয়ান কে পাঠানো হবে সূর্য ও পৃথিবীর মাঝে প্রথম ল্যাগারেঞ্জ পয়েন্ট -এ। ল্যাগারেঞ্জ পয়েন্ট সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে এমন একটি জায়গা যেখানে কোনো মহাকাশযানের ওপর পৃথিবী ও সূর্যের অভিকর্ষ বল -দুইই কার্যকর হবে। সৌর ঝড়, করোনাল মাস ইনজেকশানের মত ঘটনাগুলি কীভাবে ঘটে, কোথায় সেগুলির উৎপত্তিস্থল তা জানা-বোঝার জন্যেই ভারতের প্রথম সৌর অভিযান। পৃথিবীর যে দিকে সূর্য থাকবে সেই দিকেই থাকবে মহাকাশযান।