একঘেঁয়েমি থেকে নিস্তার দিচ্ছে প্রযুক্তি, কিন্তু বিপদটা কোথায়?

একঘেঁয়েমি থেকে নিস্তার দিচ্ছে প্রযুক্তি, কিন্তু বিপদটা কোথায়?

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ১৪ এপ্রিল, ২০২৩

সামাজিক মাধ্যমের ওঠানামা, নিত্যনতুন ঘটনা মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটায় বটে। কিন্তু গভীর আর নিরেট ক্লান্তি আর বিরক্তির অনুভূতি থেকে কোনও রকমে বাঁচিয়েও দেয় আমাদের। নতুন আঙ্গিকের এক গবেষণায় তেমনই দাবী করা হয়েছে। যদিও বিষয়টা অস্বস্তির। কারণ নিস্তরঙ্গ একঘেঁয়েমিই আবার সৃষ্টির উর্বর ময়দান। সেখান থেকেই শিল্প হোক কিংবা গণিত অথবা দর্শনের জন্ম হয়।
কিন্তু এই ‘প্রগাঢ় একঘেঁয়েমি’ বিষয়টা কেমন? বাসস্টপে বাসের জন্য অথবা টিভির সামনে প্রিয় অনুষ্ঠানের অপেক্ষায় থাকার উদ্বিগ্ন ক্লান্তি এটা নয়। কিন্তু সেই গভীর ক্লান্তিতে ডুবে যাওয়ার আগেই স্ক্রিনে ভেসে ওঠা ফেসবুক, টুইটার, স্ন্যাপচ্যাট কিংবা ইন্সটাগ্রামের একটা ঝলকেই আবার কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে উঠি আমরা। অর্থাৎ, একঘেঁয়েমি মাত্রা কখনই সৃজনের অনুপ্রেরণা অবধি পৌঁছতে পারে না।
ইংল্যান্ডের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানী টিমোথি হিল বলছেন, ঐ একটানা বিরক্তিকে প্রথম বিচারে বাজে একটা ব্যাপার মনে হতে পারে। কিন্তু, যদি এই সময়ে মানুষকে অবাধে চিন্তা করার সুযোগ দিলে সেটাই আশ্চর্য ভালো ফল দিতে পারে। উনি আরও যোগ করছেন, অতিমারির সময়টা অনেকের জন্যেই দুর্ভাগ্যের ছিল বটে কিন্তু তার মধ্যেও মানুষ যে নতুন নতুন ভালো লাগা, সখ আবিষ্কার করতে পেরেছে সেটা ভুললে চলবে না। অনেক ব্যক্তির জীবনের রাস্তাটাই পাল্টে গেছে।