এফ-এমআরআই তথ্য থেকে বোঝা সম্ভব হচ্ছে চিন্তা, দাবী গবেষকদের

এফ-এমআরআই তথ্য থেকে বোঝা সম্ভব হচ্ছে চিন্তা, দাবী গবেষকদের

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

ফাংশানাল ম্যাগনেটিক রেজোনেন্স ইমেজিং – সংক্ষেপে এফ-এমআরআই। বিজ্ঞানীদের দাবী একটা নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করা গেছে যার সাহায্যে এম-এমআরআই তথ্য থেকে মানুষের মগজের ভেতর চলতে থাকা চিন্তাকে সাজিয়ে নেওয়া যায়। ধারাবাহিক ভাষা হিসেবে উদ্ধার করা যায় এমআরআই করা ব্যক্তির মস্তিষ্কে ঠিক কোন চিন্তা চলছে। ব্রেন-কম্পিউটার ইন্টারফেসের ভবিষ্যতকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিতে পারে নতুন এই পদ্ধতি, এমনই মতামত বিজ্ঞানীদের।
সৌজন্যে অস্টিনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। এফ-এমআরআই চলাকালীন একজন মানুষ কী শুনছে বা কী ভাবছে তা শব্দের আকারে পড়তে নতুন এই ডিভাইস তৈরি করা হয়েছে। অন্যতম মুখ্য গবেষক ছিলেন স্নায়ুবিজ্ঞানী অ্যালেক্সান্ডার হুথ। প্রোফেসর হুথ বলছেন, কুড়ি বছর আগেও কোনও কগনিটিভ নিউরোসায়েন্টিস্টকে এমন আবিষ্কারের কথা শোনানো হলে তিনি হয়তো হেসেই উড়িয়ে দিতেন।
কিন্তু মানুষের চিন্তার বেগের চেয়ে এফ-এমআরআই যন্ত্রের অনেকটাই মন্থর। তাই এই যন্ত্রের তথ্যের উপর ভিত্তি করে পরীক্ষা চালানোর কাজটা মোটেই সহজ ছিল না। নিউরোনের ফায়ারিং মিলিসেকেন্ডের মাত্রায় ঘটে। সেটা শনাক্ত করা এ যন্ত্রের পক্ষে অসম্ভব। তার বদলে, মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহের পরিবর্তন পরিমাপ করতে পারে এফ-এমআরআই। তা থেকেই মস্তিষ্কের সক্রিয়তা নির্ণয় করে এই যন্ত্র। কিন্তু হুথ বলছেন, ওনাদের গবেষণায় প্রত্যেকটা শব্দ ধরে ধরে ডিকোড করার ব্যাপার ছিল না। বরং সামগ্রিকভাবে মস্তিষ্কে যা চলছে তার অর্থোদ্ধার করাটাই ছিল লক্ষ্য।
প্রোফেসর হুথের মতে, নতুন পদ্ধতির আরেকটা আকর্ষণীয় দিক হল এটা সরাসরি মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে কোথায় কি চলছে তার হদিশ দিতে পারে। যেমন, শব্দের বা বাক্যের অর্থ তৈরির জন্যে মগজের কোন কোন এলাকা কাজ করে সেটাও জানা গেছে পরীক্ষা থেকে।