এবার কি অপরাধের তদন্তে বেড়ালরা?

এবার কি অপরাধের তদন্তে বেড়ালরা?

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৫ মার্চ, ২০২৩

অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর প্রমাণের উৎস হতে পারে পোষা বেড়াল। এমনই উঠে এলো নতুন এক গবেষণায়। আমাদের বন্ধু বেড়াল যে গোয়েন্দার কাজেও ওস্তাদ সে আর কে জানত!
অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিন্ডার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেন্সিক বিজ্ঞানী হেইদি মঙ্কম্যান। উনিই ছিলেন মুখ্য গবেষক। ওনার মতে, মানুষের ডিএনএ সংগ্রহ করা অপরাধের তদন্তে খুবই জরুরি হয়ে উঠেছে। অপরাধী অথবা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির ডিএনএ অনেক সময়েই পোষা কুকুর বা বেড়ালের দেহ থেকেও পাওয়া যায়। কিন্তু এসব পোষ্যদের নিয়ে এতদিন কোনও তথ্যই ছিল না। যে বাড়িতে অপরাধ ঘটেছে, সেখানকার বসবাসকারী পোষা প্রাণীরা খুবই প্রাসঙ্গিক অপরাধের বা তার তদন্তের জন্যে। আগন্তুকের উপস্থিতি ঘটেছিল কিনা সেটাও জানা যেতে পারে এসব জন্তুর দেহ পরীক্ষা করে।
মঙ্কম্যান ও ফ্লিন্ডার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর সহকর্মী মারিয়া গোরে জুটি বেঁধেছিলেন ভিক্টোরিয়া পুলিশ ফরেন্সিক সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্টের পদাধিকারী রোল্যান্ড ভন উর্সশতের সাথে। উদ্দেশ্য ছিল পোষা বেড়ালের শরীর থেকে মানুষের ডিএনএ-র পড়ে থাকা নমুনা বিশ্লেষণ। মঙ্কম্যান জানিয়েছেন, তাঁরা সফলও হয়েছেন অনেকদূর। এবার সত্যিকারের একটা অপরাধের অকুস্থলে গিয়ে বেড়ালকে সরাসরি কাজে লাগানোর অভিজ্ঞতাটুকু বাকি।
গবেষণাপত্র প্রকাশ পেল ফরেন্সিক সায়েন্স ইন্টারন্যাশ্নালঃ জেনেটিক্স সাপ্লিমেন্ট সিরিজে।