এভারেস্ট, কাঞ্চনঝঙ্ঘা সৃষ্টির পেছনেও কার্বন!

এভারেস্ট, কাঞ্চনঝঙ্ঘা সৃষ্টির পেছনেও কার্বন!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৬ ডিসেম্বর, ২০২১

পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্টের উচ্চতা ৮৮৪৯ মিটার। কাঞ্চনঝঙ্ঘার ৮৫৮৬ মিটার। বিজ্ঞানীরা গবেষণায় ব্যস্ত হয়েছেন কীভাবে সৃষ্টি হল এই পর্বত? কীভাবেই বা এই উচ্চতায় পৌঁছল পর্বতগুলো? সাধারণত বিজ্ঞানীরা অনেক বছর ধরে এই মত পোষণ করে আসছেন যে, ভূগর্ভস্থ টেকটনিক প্লেটের সংঘাতেই পর্বতের সৃষ্টি। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণা জানাচ্ছে শুধু টেকটনিক প্লেটের সংঘাতে নয়, প্রায় ২০০ কোটি বছর আগে সমুদ্রের নীচে পড়ে থাকা পরিপোষক পদার্থের আন্দোলনে টেকটনিক প্লেটগুলো আর প্ল্যাঙ্কটনগুলোর মধ্যে একটি বিশাল বিস্ফোরণ হয় এবং তার ফলেই পর্বতের সৃষ্টি। নেচার জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণা। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সমুদ্রের নীচে বিশাল পরিমাণে অক্সিডেশন মুভমেন্টের ফলে প্রচুর পরিমাণে থাকা কার্বন সহায়তা করেছে পর্বত সৃষ্টিতে। প্ল্যাঙ্কটনগুলো মৃত হয়ে যাওয়ার পর তারা সমুদ্রের ফ্লোরে জমে গিয়ে গ্রাফাইটে রূপান্তরিত হয়। সেই গ্রাফাইটগুলোই ধীরে ধীরে ভেঙে পরিণত হয় পাথরের স্ল্যাবে। যার থেকে শেষপর্যন্ত পর্বতমালাগুলোর সৃষ্টি হয়। জিওসায়েন্সের অধ্যাপক জোন পারনেল বলেছেন, “ল্যান্ডস্কেপের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল পর্বত। কিন্তু পৃথিবীর যে সমস্ত বড় পর্বতমালা রয়েছে তার ইতিহাস কিন্তু পৃথিবীর ইতিহাসে অর্ধেক সময় জুড়ে রয়েছে। যারও বয়স প্রায় ২০০ কোটি বছর। আমাদের গবেষণা থেকে বোঝা গিয়েছে তার সৃষ্টি কিন্তু শুধু টেকটনিক মুভমেন্টের জন্য হয়নি। সমুদ্রের নীচে জমে থাকা প্রচুর পরিমাণে কার্বনের ভূমিকাই পর্বতমালা সৃষ্টির নেপথ্যের নায়ক।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen + 7 =