রাস্তার এলইডি আলোগুলো লাগানোর পর খুশি মানুষ। শহরের সমস্ত রাস্তায় এরকম আলো লাগানো গেলে ঝলমলে হয়ে উঠবে গোটা শহরটাই। আর উঠছেও। মানবসভ্যতার এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে এলইডি আলোর ঔজ্জ্বল্য নিঃশব্দে অথচ গুরুত্বপূর্ণ একটা ভূমিকা নিয়ে যাচ্ছে।
প্রাণীকুল এই ঔজ্জ্বল্যকে কিন্তু ভালোভাবে নেয়নি। প্রাণীকুল মানে পতঙ্গকুল। আরও বিশেষ করে ছোট পোকামাকড় বা শুঁয়োপোকা যাদের রাস্তার আলোগুলোর কাছাকাছি বেশি দেখা যায়। ওরা ভালোভাবে নেয়নি কারণ এই উজ্জ্বল আলো ওদের বেশ ক্ষতিই করেছে। তাই সাম্প্রতিক গবেষণা জানিয়েছে, যে কোনও শহরে সন্ধেয় কোনও রাস্তার উজ্জ্বল আলোর নিচে গিয়ে দাঁড়ালে লক্ষ করা যাবে, পতঙ্গদের আলোকে ঘিরে থাকার ব্যাপারটা আগের তুলনায় অনেক কমে গিয়েছে। ইংল্যান্ডের এক নামী কীটতত্ববিদ ডগলাস বোয়েস এবং তাঁর ছাত্রছাত্রীরা মিলে অনেকদিন ধরেই চালাচ্ছেন গবেষণা। অনেকদিন ধরে তাঁরা ইংল্যান্ডের একাধিক শহরে সন্ধেবেলায় গিয়ে চারমাথা বা দু’মাথার মোড়ে স্ট্রীট লাইটের নিচে দাঁড়িয়ে থেকেছেন, খাতা কলম নিয়ে সার্ভে করে দেখেছেন, আগের তুলনায় অন্তত ৫২ শতাংশ কম পতঙ্গের ঝাঁক দেখা যাচ্ছে! আগে মানে, বছর পাঁচেক আগের তুলনায়। পতঙ্গ বলতে বিশেষত শুঁয়োপোকা যাদের আগে বেশি দেখা যেত উজ্জ্বল আলোয়। বোয়েস বলছেন, আলোর চারপাশের অন্ধকারেই জড়ো হচ্ছে সমস্ত শুঁয়োপোকা। তাঁর মতে, উজ্জ্বল আলোয় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শুঁয়োপোকাদের প্রজনন! সৌজন্যে এলইডি-র উজ্জ্বল আলো। আর তার ফলে শুঁয়োপোকাদের সংখ্যাও দিন দিন কমে যাচ্ছে। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে অন্তত ৩৩ শতাংশ কমে গিয়েছে শুঁয়োপোকারা!