করোনা-ঝড়ে প্রথমবার মে-দিবস হল না চিনে!

করোনা-ঝড়ে প্রথমবার মে-দিবস হল না চিনে!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৪ মে, ২০২২

কার্যত ভয়ঙ্কর অবস্থা। হাজার চেষ্টা করেও করোনা সংক্রমণ রুখতে পারছে না চিন। সংক্রমণের জেরে নজিরবিহীনভাবে গত ৭৩ বছরে এই প্রথম মে দিবস পালন করা হল না চিনে! এত ব্যবস্থা নেওয়ার পরও বেড়ে চলেছে সংক্রমণ। দেশে একের পর এক শহরে জারি হচ্ছে লকডাউন। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, ২৬টি শহর ইতিমধ্যেই লকডাউনের কবলে চলে গিয়েছে। সাংহাইতে চলছে পুরো লকডাউন। খোদ বেজিংয়েও বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। আশ্চর্যের বিষয়, গত মাসে প্রেসিডেন্ট জিনপিং বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন, কিন্তু করোনা সংক্রমণ ও লকডাউন নিয়ে একটা শব্দও খরচ করেননি! কিন্তু লকডাউনের ফলে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ছবিটা আবার খুব করুণ। প্রবল সমস্যায় পড়া সাধারণ মানুষ সম্পূর্ণ ঘরবন্দি। প্রশাসনের তরফে তাঁদের কাছে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌছে দেওয়া হচ্ছে। এ কাজে প্রশাসন প্রায় ৭৫ লাখ সরকারি কর্মীকে নামিয়েছে।
ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ ও তার জন্য হওয়া লকডাউনে ফের হাঁসফাঁস করছে দেশের অর্থনীতি। প্রভাবিত হচ্ছে দেশের জিডিপি। জিডিপির গ্রোথ থমকে গিয়েছে বলেই খবর। প্রবল চাপে অর্থনীতি। মার খাচ্ছে চিনের ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রি। সাংহাই, বেইজিংয়ের মতো বড়বড় শহরের স্কুলগুলি বন্ধ। ৮টি রাজ্যে স্কলগুলি প্রায় দু’মাস ধরে বন্ধ। ফলে প্রবলভাবে ব্যহত হচ্ছে পড়াশোনা। তৃতীয় ঢেউয়ের পর কিছুদিনের জন্য স্কুল খুললেও তা আবার বন্ধ করতে হয় প্রশাসনকে। চিনে বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। টিকাকরণ হওয়ার পরও কেন বাড়ছে এভাবে সংক্রমণ তা বুঝতেই এখন হিমশিম প্রশাসন। সবমিলিয়ে করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের ধাক্কায় আপাতত বেসামাল চিন।