কলার ইতিহাস যে কতটা জটিল তা কল্পনা করা বেশ চাপের। আজ থেকে ৭০০০ বছরেরও আগেকার কথা। ওশিয়ানিয়া কৌমের মানুষজন প্রথম মুসা অ্যাকিউমিনাটা চাষ করতে শুরু করে, সেটাই কলার আদি প্রজাতি।
কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে, আমরা যে কলা আজকাল খাই তার বেশিরভাগই একটা প্রজাতির নানান ক্লোন। কিন্তু জিনের বৈচিত্র্য না থাকলে বিশেষ কোনও রোগের কবলে পড়ে বন্ধ হয়ে যেতেই পারে কলার জোগান।
সম্প্রতি এক গবেষণায় ২২৬ রকমের কলাগাছের পাতা থেকে জিনোম সিকোয়েন্স প্রস্তুত করেছেন বিজ্ঞানীরা। নানা রকমের বন্য আর চাষযোগ্য কলার জাত তুলনা করে গবেষকরা একটা বংশবৃক্ষ বানিয়েছেন কলার পূর্বসূরিদের নিয়ে। মুখ্য গবেষক জুলি সার্ডোস জানালেন, কলাগাছের খুব কম প্রজাতিই বিজ্ঞানীদের দ্বারা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এখনও পর্যন্ত। যদিও সেসব জাত এখনও পৃথিবীতে টিকে আছে কিনা কেউ জানে না।
সার্ডোস আরও বলছেন, কোনও অজানা জঙ্গলের ভেতর দুনিয়ার কোনও এক কোণে হয়তো কলাগাছের প্রাচীন ঐ প্রজাতি লুকিয়ে আছে। সেটাকে খুঁজে পাওয়া অবশ্যই দরকার। বিজ্ঞানীদের অনুমান, একটা সম্ভাব্য জায়গা হতে পারে থাইল্যান্ড উপসাগর আর দক্ষিণ চিন সাগরের মাঝে কোনও এক অঞ্চল। অন্যটা হতে পারে উত্তর বোর্নিও আর ফিলিপিন্সের মাঝামাঝি। আবার কোনও কোনও বিজ্ঞানী মনে করেন নিউ গিনি দ্বীপপুঞ্জেই মিলতে পারে কলাগাছের গোপন এই প্রজাতি।
ফ্রন্টিয়ার্স ইন প্ল্যান্ট সায়েন্স পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটা।