পৃথিবীর বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কলেরা হানা দিয়েছে ফের। নতুনভাবে ভ্যাকসিনের বণ্টনপ্রণালী ঠিক করতে হচ্ছে স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোকে। তেমনই আক্রান্ত দেশগুলোতে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর অবস্থা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠতে শুরু করেছে। কয়েক লক্ষ মানুষ বিশ্বব্যাপী ইতিমধ্যেই আক্রান্ত, নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন তেমনটাই বলছে।
ভ্যাকসিনের আকালও বেলাগাম হয়ে পড়েছে। এমতবস্থায় ইন্টারন্যাশানাল কোঅরডিনেটিং গ্রুপ (আইসিজি) যারা প্রতিষেধক টিকা বণ্টনের দায়িত্বে আছে, সংকটে পড়েছে তারা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফের পরামর্শ হচ্ছে সম্পূর্ণ দুটো ডোজ না দিয়ে আপাতত একটা করে ডোজ দেওয়া হোক আক্রান্ত রোগীদের।
দূষিত জল বা খাবারের মাধ্যমেই কলেরার ব্যাকটেরিয়া সংক্রামিত হয় মানুষের শরীরে। সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশান (সিডিসি) এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রোগের প্রধান লক্ষণগুলো হচ্ছে ডাইরিয়া, বমি আর শরীর শুকনো হতে থাকা। আক্রান্ত মানুষদের মধ্যে গড়ে ৩%-এর মৃত্যু হয়। কিন্তু শেষ কয়েকবছরের হিসেব বলছে মৃত্যুহার বেড়ে গেছে কলেরার ক্ষেত্রে।
এই বছর ২৯টা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে কলেরা, হু-এর প্রতিবেদন তেমনটাই জানাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে হাইতি, মালাওই আর সিরিয়া। বিশেষজ্ঞরা বলছেন শেষ পাঁচ বছরে বন্যা, খরা, সামরিক দ্বন্দ্ব, গৃহযুদ্ধ, আর শরণার্থী সমস্যার জন্যে আরও বেড়েছে কলেরার গ্রাস।
কিন্তু সমস্যা আরও ঘনীভূত হয়েছে ভ্যাকসিনের অভাবে। এ বছরে ৩৬ মিলিয়ন ভ্যাকসিন উৎপাদনের কথা ছিল। কিন্তু ইতিমধ্যেই ২৪ মিলিয়ন বন্টিত হয়ে গিয়েছে। আপৎকালীন টিকাকরণের জন্যে আরও আট মিলিয়ন ভ্যাকসিন চারটে দেশে পৌঁছে যাবে।