কার্বনকে বশে আনার পথ দেখাচ্ছে অষ্ট্রেলিয়া

কার্বনকে বশে আনার পথ দেখাচ্ছে অষ্ট্রেলিয়া

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

বিশ্ব জুড়ে এখন অন্যতম গবেষণা, কীভাবে কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। সম্প্রতি গ্লাসগোয় হয়ে যাওয়া আন্তর্জাতিক ক্লাইমেট চেঞ্জিং সম্মেলনেও বহু দেশের প্রতিশ্রুতি ছিল ২০৩০-এর মধ্যে কার্বন নির্গমনের মাত্রা শূন্যে নিয়ে যাওয়া। বাস্তবে যা অসম্ভব। কারণ কার্বন নির্গমনের অন্যতম ক্ষেত্র বিভিন্ন দেশের শিল্পাঞ্চল। মেলবোর্নের আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই বিষয়ে এক অভিনব বিকল্পের সন্ধান দিলেন। ডিকার্বোনাইজেশন পদ্ধতির মাধ্যমে কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে পরিণত করলেন কঠিন ব্লকে। শুধু কার্বন নির্গমন নিয়ন্ত্রণ নয়, শক্তি অপচয় রোধেও পথ দেখাবে এই পদ্ধতি। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ডিকার্বোনাইজেশন পদ্ধতিও একধরণের কার্বন ক্যাপচার। সম্প্রতি বিভিন্ন দেশে কার্বন ক্যাপচার করা হচ্ছে। তবে সেক্ষেত্রে কার্বনকে ক্যাপচার করতে গিয়ে বিপুল শক্তি ও রাসয়নিক পদার্থের প্রয়োজন হচ্ছে। সেখানে ডিকার্বোনাইজেশন পদ্ধতিতে ১০০ থেকে ১২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস গরম করতে হয় তরল ধাতুকে। এই পরিমান শক্তি উৎপাদন করা সম্ভব উইন্ড মিল বা সৌরসেলের মাধ্যমে। ফলে সার্বিকভাবে এই প্রক্রিয়া পরিবেশবান্ধব।