কার্বনের মাত্রা বাগে আনতে নতুন প্রযুক্তির হদিশ

কার্বনের মাত্রা বাগে আনতে নতুন প্রযুক্তির হদিশ

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা।
Posted on ৪ আগষ্ট, ২০২২

একুশ শতকের দাঁড়িয়ে বিশ্বের সবচেয়ে চর্চিত বিষয় হল জলবায়ু পরিবর্তন। আমরা সকলেই অল্প-বিস্তর জানি, কার্বন কিংবা গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমন ত্বরান্বিত করছে এই পরিস্থিতিকে। কার্বন নির্গমন পরিবেশে কীভাবে প্রভাব ফেলছে— তা নিয়ে তৈরিও হয়েছে একাধিক তথ্যচিত্র। হচ্ছে লেখালিখিও। কিন্তু কীভাবে বাগে আনে যায় এই পরিস্থিতিকে? বাণিজ্যিক স্তরে কীভাবে লড়াই করা যায় কার্বন নির্গমনের সঙ্গে? এতদিন পর্যন্ত শুধুমাত্র অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহারেই এই সমস্যার সমাধান খুঁজেছি আমরা। নিত্য-নতুন উদ্ভাবনী বাজারে এলেও, আমরাই যেন উপেক্ষা করেছি তাদের। এবার জনসচেতনতা গড়ে তুলতে এইসমস্ত প্রযুক্তিকে নিয়েই তৈরি হল আস্ত একটি তথ্যচিত্র। ইতিমধ্যেই মুক্তি পেয়েছে আই-প্লেয়ার প্ল্যাটফর্মে।
দ্য আর্ট অফ কাটিং কার্বন। এই তথ্যচিত্রের হাত ধরেই উঠে এল কাগজ মুদ্রণ থেকে শুরু করে স্টিল প্ল্যান্টের মতো নানান বাণিজ্যিক ও শিল্প ক্ষেত্রে কার্বন ছাঁটাই-এর অদ্ভুত সব পদ্ধতি। আর এই অভিনব তথ্যচিত্রটির পিছনে রয়েছে পরিবেশবিদ, বিশ্লেষক এবং বিবিসির সাংবাদিক রজার হেরাবিন। এই তথ্যচিত্রটিতে মূলত বিভিন্ন স্বল্প-চর্চিত কার্বন উৎসের দিকে আলোকপাত করেছেন তিনি। দেখিয়েছেন কীভাবে প্রযুক্তির সাহায্যে নিয়ন্ত্রণে আনা যায় এই নির্গমন।
শক্তি উৎপাদনে কয়লা এবং পেট্রোপণ্যের ব্যবহারে নির্গত হয় প্রচুর পরিমাণে কার্বন। তবে শতাংশের বিচারে এর থেকেও বেশি কার্বন নির্গমনের জন্য দায়ী কাগজ, প্লাস্টিক, স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প। এই প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিশ্বের সেরা কিছু কার্বন কাটিং প্রযুক্তিকে তুলে ধরেছেন রজার। ‘দ্য আর্ট অফ কাটিং কার্বন’-তথ্যচিত্রের প্রতিটি আঙ্গিকই নতুন করে সচেতনতা গড়ে তুলবে বলেই বিশ্বাস পরিচালক রজার হেরাবিনের। আগামীদিনে সবুজ পৃথিবী গড়তে এবং জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে এই পথেই হাঁটতে হবে সমগ্র মানব সভ্যতাকে।