কার্বন থেকে মুক্তি দেবে বিষাক্ত অ্যালকোহল?

কার্বন থেকে মুক্তি দেবে বিষাক্ত অ্যালকোহল?

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ১৬ নভেম্বর, ২০২২

উড স্পিরিট নামেও পরিচিত এই রাসায়নিক। পানযোগ্য অ্যালকোহল ইথানলের নিকট আত্মীয় বলা চলে। কিন্তু মিথানল একটা বিষাক্ত অ্যালকোহল। কিন্তু এই বিষের প্রয়োগেই আরেক বিষ, কার্বনকে বাগে আনার ভাবনা রয়েছে বিজ্ঞানীদের।
বিশ্বব্যাপী রাসায়নিক শিল্পক্ষেত্র গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের ৪%-এর জন্যে দায়ী। কিন্তু মিথানল এই ব্যাপক দূষণ-সৃষ্টিকারী শিল্পকে সম্পূর্ণ পরিষ্কার করে দিতে পারে, এমনই দাবি উঠেছে নতুন গবেষণায়।
রাসায়নিক শিল্পে কার্বন নিঃসরণের অধিকাংশই শক্তিব্যয় থেকে কিন্তু আসে না। আসে রাসায়নিক দ্রব্য উৎপাদনের সময়েই। আর অনেকটা ঘটে বর্জ্য পদার্থ পুড়িয়ে নষ্ট করার জন্যে। তারপর এই দূষণই প্রবেশ করে আরও নানা ক্ষেত্রে। যেমন – স্বাস্থ্য, কৃষি আর নির্মাণক্ষেত্রে। ফলে রাসায়নিক শিল্পকে কার্বনমুক্ত করা বেশ কঠিন একটা কাজ।
কিন্তু গত সেপ্টেম্বর মাসে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিস্টেমিক নামের এক কনসালটেন্সি কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে সমাধানের রূপরেখা পাওয়া গেছে। কোন প্রযুক্তি ব্যবহার হবে, কী কী উপাদান লাগবে আর কোন পদ্ধতিতে কাজটা সম্ভব হবে – সমস্ত বিশদে প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী রাসায়নিক শিল্পক্ষেত্রে ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হতে চলেছে অ্যামোনিয়া। এটা মূলত কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু হাইড্রোজেন হিসেবে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি সঞ্চয় করতে পারে এই অ্যামোনিয়া।
অ্যামোনিয়ার পরেই যে রাসায়নিকের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি সেটা হল মিথানল। এখনকার থেকে চারগুণ বাড়তে পারে মিথানলের চাহিদা, এমনটাই মত গবেষকদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 + one =