জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে অপ্রচলিত শক্তির দিকেই ঝুঁকতে চাইছে গোটা পৃথিবী। কিন্তু বাকি দেশগুলোর থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে কয়েকটা মাত্র দেশ? নতুন এক গবেষণা ক্লিন এনার্জি বাস্তবায়ন হওয়া বা না হওয়ার পেছনে নানান দেশের রাজনৈতিক কারণগুলোকে খুঁজে বের করতে চাইছে।
চলতি বছরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে এমনিতেই আকাশ ছুঁয়েছে তেল আর গ্যাসের দাম। একই রকম তেলের সংকট তৈরি হয়েছিল ১৯৭০ সালেও। বর্তমান টালমাটাল পরিস্থিতিতে কিছু দেশ অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহারের পক্ষে অনেকটাই কাজের কাজ করে উঠতে পেরেছে। অন্য দেশগুলোতে জীবাশ্ম জ্বালানির উৎপাদন কয়েকগুণ বেড়ে গেছে।
নতুন শক্তির প্রচলনে কেন কিছু দেশ এগিয়ে আর বাকিরা পিছিয়ে, তাই নিয়েই অনুসন্ধান চালিয়েছিলেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্কলে ক্যাম্পাসের সহকারী অধ্যাপক জোনাস মেকলিং। গবেষণায় তাঁর সাথে ছিলেন টরোন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলিপ লিপ্সকি, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের জারেড ফিনেগান আর নেদারল্যান্ডের টোয়েন্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্লোরেঞ্জ মেটজ।
গবেষণায় ওনারা দেখিয়েছেন কীভাবে একেকটা দেশের বিশেষ কিছু রাজ্যে বা প্রদেশে উপভোক্তা এবং ব্যবসায়ী মহলের আপত্তির মুখে পড়ে পিছিয়ে আসতে হয়েছে সরকারকে। জীবাশ্ম জ্বালানিকে সরিয়ে ক্লিন এনার্জি আনতে গেলে যে বৃহৎ আর সদর্থক জনমত লাগে, অথবা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সদিচ্ছা প্রয়োজন হয় তা বেশিরভাগ দেশেই নেই। যে গুটিকয়েক রাষ্ট্র অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহার সত্যিই এনেছে তারা হয় বাধাবিপত্তির ঝক্কি পোহাতে পেরেছে নয়তো বিপক্ষ দলের বিরোধিতা বিসর্জন দিয়ে ঐ কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়েছে।