কৃত্রিম চাঁদ তৈরি করল চিন

কৃত্রিম চাঁদ তৈরি করল চিন

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২০ জানুয়ারী, ২০২২

চিনের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা চার বছর আগেই ঘোষণা করেছিলেন তারা কৃত্রিম চাঁদ তৈরির প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছেন। বিজ্ঞানীদের পরিকল্পনা ছিল সেই চাঁদ মহাকাশে পাঠানো হবে। অমাবস্যার অন্ধকারেও সেই চাঁদের আলোয় পৃথিবী আলোকিত হবে। এবার সেই মহাকাশ বিজ্ঞানীদের উদ্যোগে পৃথিবীর বুকেই তারা কৃত্রিম চাঁদ তৈরি করে ফেলল! জিয়াংশু প্রদেশের পূর্ব দিকে শুঝাউ শহরে। চিনের অন্যতম জনপ্রিয় দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে এই অসম্ভব সম্ভব হয়েছে চায়না ইউনিভার্সিটি অফ মাইনিং অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক লি রুইলিনের জন্য। মূলত তারই মস্তিস্কপ্রসূত এই কৃত্রিম চাঁদ। মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে এই ধরণের ঘটনা প্রথম।
বিজ্ঞানীদের দাবি, নকল চন্দ্রপৃষ্ঠ আসল চাঁদের মতই। চাঁদের মাটিতে যতটুকু অভিকর্ষ থাকে নকল চাঁদেও সেইটুকু অভিকর্ষ থাকবে। মানে নকল চাঁদে পৌঁছলে মানুষ ভাববে সে মহাকাশ যাত্রা করে চাঁদেই পৌঁছে গিয়েছে। তবে একইসঙ্গে চিনের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন এই কৃত্রিম চাঁদ পর্যটকদের জন্য নিষিদ্ধ থাকছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, কৃত্রিম এই চাঁদ শুধুমাত্র মহাকাশ বিজ্ঞানীদের গবেষণার গতি বাড়ানোর জন্য। জানা গিয়েছে ভবিষ্যতে চিনের চন্দ্র অভিযান সম্পর্কিত যে কোনও প্রকল্পে মহাকাশচারীদের এই নকল চাঁদের পরিবেশেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যাতে তারা চাঁদে পৌঁছে কোনওরকম অস্বস্তিতে না পড়েন। অধ্যাপক রুইলিন জানিয়েছেন অনেক ক্ষেত্রে বিমানে বা অন্য কয়েকটি পরিস্থিতিতে অভিকর্ষ কিছুক্ষণের জন্য কমে যায়। এখানে মহাকাশচারীদের ইচ্ছেমত অভিকর্ষ ধরে রাখা যাবে। রুইলিন আরও জানিয়েছেন, এর পর কৃত্রিম চাঁদে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহাকাশচারীদের আসল চাঁদে পৌঁছে আর খুঁজতে হবে না কোথায় জল রয়েছে বা বায়ুমণ্ডল থেকে ছুটে আসা মহাজাগতিক রশ্মি থেকে কীভাবে বাঁচা সম্ভব এবং আরও অনেক কিছু। বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, নকল চাঁদটি হবে দুই ফুট ব্যাসার্ধের। যার পৃষ্ঠে থাকবে চাঁদের মতই ধূলিকণা, পাথর আর গর্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven + eighteen =