ব্রাজিল জুড়ে জাগুয়ারের সংখ্যা ক্রমশ কমে যাচ্ছে। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, ২০১৬ থেকে ২০১৯-এর মধ্যে ১৫০০-র বেশি জাগুয়ার অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে। নয় তাদের মারা হয়েছে, নয়তো আমাজনের জঙ্গলে একাধিকবার হওয়া প্রবল দাবানলের আগুনে তারা মারা গিয়েছে। তাই জাগুয়ার প্রজাতিকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টায় বিজ্ঞানীদের নতুন আবিষ্কার এই কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি! ২০১৯-এ একটি মহিলা জাগুয়ারের শরীরে ‘হিমায়িত বীর্য’ প্রবেশ করিয়ে জন্ম নিয়েছিল একটি জাগুয়ার শাবক। বিশ্বে প্রথমবার। আট বছরের সেই মহিলা জাগুয়ার, যার নাম বিয়াঙ্কা, সে আবার নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করার পথে। গত বৃহস্পতিবার, সেই বিয়াঙ্কাকে আবার ব্রাজিল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাঙ্কুলাইজারের মাধ্যমে। বিজ্ঞানীরা আবার তার শরীরে ‘হিমায়িত বীর্যের’ প্রবেশ ঘটাবেন। যাতে আবার জন্ম নেয় জাগুয়ার শাবক। সিনসিনাটি জাতীয় উদ্যানের বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “আমাজনের জঙ্গল, সেরাডো সাভানা এবং পানটানালের জলাভূমি থেকে গত চার বছরে প্রচুর গুরুতরভাবে আহত জাগুয়ারকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ দাবানলে অগ্নিদগ্ধ, কেউ শিকারীদের আক্রমণে চোটগ্রস্ত হয়ে কোনওরকমে পালিয়েছিল, কিন্তু উদ্ধার হওয়ার সময় মরণাপন্ন অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে। তাদের চিকিৎসা শুরু করার আগেই তারা মারা গিয়েছে। এই অবস্থা থেকেই আমাদের পরিবর্ত ব্যবস্থা তৈরি করার ভাবনা এসেছে।”