নোবেল প্রাইজের পালটা পুরস্কার হল ইগ-নোবেল (Ig-Nobel) পুরস্কার, বাংলায় বলতে পারি ‘অপ-নোবেল পুরস্কার’। ইংরেজি ignoble কথাটার মানে হল ‘অবমাননাকর’। যাঁরা বাজে গবেষণা করে নাম করতে চান তাঁদের ওই অবমাননাকর অপ-নোবেল পুরস্কার দিয়ে ব্যঙ্গ করা হয়। বলা বাহুল্য, যাঁরা এ ‘পুরস্কার’ পান তাঁরা এটা মোটেই পছন্দ করেন না। কারণ এর মধ্যে মিশে থাকে তাচ্ছিল্য আর তির্যক ব্যঙ্গ। কিন্তু কেউ কেউ আবার পছন্দও করেন, যেমন পক্ষিবিজ্ঞানী কীস মোয়েলিকার। কারণ “প্রথম প্রথম সবাই ওটা নিয়ে হাসহাসি করে, কিন্তু তারপর ভাবতে বাধ্য হয়”। ২০০৩ সালে তিনি এই অপ-নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন হাঁসেদের মধ্যে “সমকামী মরণপ্রীতি”-র ঘটনাটির প্রথম প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য। তিনি বলেছেন, “ওই পুরস্কার পাওয়ার পরে আমার গবেষণাপত্রটির পাঠকসংখ্যা হুহু করে বেড়ে যায়”। এমনই আরেকজন হলেন মনস্তত্ত্ববিদ মিনা লিয়ন্স। রাতপেঁচাদের ব্যক্তিত্বের অন্ধকার প্রবণতাগুলি নিয়ে গবেষণা করেছিলেন তিনি। তিনি বলেছেন, “এখনো পর্যন্ত ওই পুরস্কার আমার সারস্বত জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ চমক। আসলে ওই পুরস্কার লোককে উদ্দীপিতই করে”।
(সূত্রঃ DEINSEA paper & Personality and Individual Differences paper)