কোভিডের জন্যে নতুন এম-আরএনএ ভ্যাকসিন

কোভিডের জন্যে নতুন এম-আরএনএ ভ্যাকসিন

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ১৫ নভেম্বর, ২০২২

দরকার কেবল একটা ফ্রিজ। আর ফ্রিজের তাপমাত্রাতেই অন্তত টানা তিনমাস রাখা যাবে কোভিডের নতুন এম-আরএনএ ভ্যাকসিন। ইতিমধ্যেই প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালে উত্তীর্ণ হয়েছে এই টিকা।
নতুন ভ্যাকসিনটার নাম চুলাকোভ-১৯। এটা দুটো ডোজের ভ্যাকসিন। থাইল্যান্ডে আন্তর্জাতিক গবেষকদের উদ্যোগে উন্নত করা হয়েছে এটা। প্রাথমিকভাবে উত্তর অ্যামেরিকায় প্রস্তুত করা হয়েছিল এই এম-আরএনএ টিকা। সেটাও প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্যে। কিন্তু তারপর বড়ো মাত্রায় উৎপাদনের জন্যে থাইল্যান্ডেই দ্বিতীয় আর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল করা হবে।
প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালে ৭২ জন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির উপর চুলাকোভ প্রয়োগ করা হয়। দেখা গেছে ভ্যাকসিনটা নিরাপদ। যদিও মৃদু কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে কিন্তু কোভিড-১৯ অ্যান্টিবডি শরীরে তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে এই নতুন ভ্যাকসিন। নেচার মাইক্রোবায়োলজি পত্রিকায় প্রকাশিত হল ট্রায়ালের ফলাফল।
বর্তমানে এম-আরএনএ টিকা হিসেবে ফাইজার আর মডার্নার ভ্যাকসিন ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ফ্রিজের ভেতর ২-৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় প্রথমটা ১০ সপ্তাহের জন্যে আর দ্বিতীয়টা ৩০ দিনের জন্য সংরক্ষণ করা যায়। এর চেয়ে বেশিদিন সংরক্ষিত অবস্থায় রাখতে হলে ফাইজারের ভ্যাকসিনের জন্যে -৬০ ডিগ্রি এবং মডার্নার জন্যে – ১৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা বজায় রাখতে হয়। ফলে এই দুটো ভ্যাকসিনই সঞ্চয় করতে বা সরবরাহ করতে বেশ ব্যয়সাপেক্ষ। অর্থাৎ নিম্ন আর নিম্ন-মধ্য আয়সম্পন্ন দেশগুলোতে এই দুটো টিকার ব্যবহার অনেকটাই কঠিন।
সব মিলিয়ে নতুন চুলাকোভ-১৯ সহজেই ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যাবে কয়েক মাসের জন্যে। উন্নয়নশীল আর অনুন্নত দেশের জন্যে সুবিধেজনক দামেই বণ্টন করার পরিকল্পনা রয়েছে থাইল্যান্ডের উৎপাদক সংস্থার।