সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিন থেকে কোভিড-১৯-এর নতুন প্রতিষেধকের কথা জানানো হল। প্রতিষেধক বলাটা এখনই হয়ত উচিত হবে না। কারণ, গবেষকরা বলছেন, মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কোনও রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বা হাসপাতালে ভর্তি থাকা কোনও রোগী মারা যেতে পারেন, এরকম অবস্থায় নতুন এই ওষুধকে দেখা গিয়েছে কাজ করতে। রোগী অনেক সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। মৃত্যুমুখে চলে যাওয়া রোগী সুস্থ হয়ে আইসিইউ থেকে বেরিয়ে এসেছেন। ওষুধের নাম? ফ্লুভোক্সামিন! সেটি হতাশা কাটানোর জন্য চিকিৎসকরা রোগীদের দিয়ে থাকেন। সেন্ট লুইসের মেডিসিন স্কুলের এক শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যাঞ্জেলা রিয়ার্সন জানিয়েছেন, এই ‘অ্যান্টি-ডিপ্রেশন’ ওষুধ ১০ দিন রোগীকে খাওয়ানোর পর চিকিৎসকরা দেখেছেন মৃত্যুর হার কমে গিয়েছে ৯১ শতাংশ। আর হাসপাতালে রোগী ভর্তি হওয়ার সংখ্যা দুই-তৃতীয়াংশ কমে গিয়েছে। ল্যান্সেট গ্লোবাল স্বাস্থ্য ম্যাগাজিনে এই সম্পর্কিত লেখা প্রকাশিত হয়েছে। ডেভিড বোলওয়ার নামের আরও এক চিকিৎসকও জানিয়েছেন, গত দু’তিন দশক ধরে এই ওষুধ মানুষের ডিপ্রেশনের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হচ্ছে। কয়েক লক্ষ মানুষ এই ওষুধ ইতিমধ্যে খেয়েছেন। তাই সাইড এফেক্টের দিক থেকেও এই ওষুধ নিরাপদ। গবেষণা আরও জানিয়েছে কোভিডে আক্রান্তদের মধ্যে যারা ৮০ শতাংশ এই ওষুধের ডোজ নিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে আরও ভালভাবে কাজ হয়েছে! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক চিকিৎসক বলছেন ফ্লুভোক্সামিনকে সরকার কোভিড-১৯ এর প্রতিষেধক বলে স্বীকৃতি দিক।