তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ১০০ মিলিয়ন ডিগ্রি সেলসিয়াস। কোরিয়ার কৃত্রিম সূর্যের কেরামতি চলল কুড়ি সেকেন্ডের বেশি সময় ধরে।
কে.স্টার – ভেঙে বললে, কোরিয়া সুপারকন্ডাক্টিং টোকাম্যাক অ্যাডভান্সড রিসার্চ। এই যন্ত্রের ভেতর রাখা প্লাজমাকে নিয়ে যাওয়া হল আসল সূর্যের চেয়ে সাতগুণ বেশি উষ্ণতায়। নিউ সায়েন্টিস্ট পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, যান্ত্রিক বিধিনিষেধের কারণেই নাকি ৩০ সেকেন্ডের আগেই বন্ধ করতে হয়েছে নিউক্লিয় সংযোজন বিক্রিয়াটা।
কেস্টার চৌম্বকক্ষেত্র ব্যবহার করে অতিউষ্ণ প্লাজমা সৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। এতে নিউক্লিয় সংযোজনের থেকে উদ্ভূত শক্তি বাস্তবেই সমাধান করতে পারে বিদ্যুতের চাহিদা। প্রকল্পের অন্যতম গবেষক ইয়ং-সু না। নিউ সায়েন্টিস্ট পত্রিকার ম্যাথু স্পার্ক্সকে তিনি জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে এই অফুরন্ত শক্তির উৎসকে আরও নিপুণভাবে মানুষের উপকারে কাজে লাগানোই তাদের মূল উদ্দেশ্য। ইয়ং-সু’র মতে, আগামী দিনে আরও বেশিক্ষণের জন্য এই পরীক্ষা করা হবে।
একই ধাঁচের একটা নিউক্লিয় বিক্রিয়ক চীনদেশেও আছে। একাধিক পরমাণুর নিউক্লাই জুড়তে শুরু করলে বিপুল পরিমাণ শক্তির জন্ম হতে পারে। নিউক্লিয় বিয়োজনের ক্ষেত্রে ঘটনাটা ঠিক উল্টো।
এতও বেশি সময় ধরে বিক্রিয়া চালানোর জন্যে খুবই উপযুক্ত এই কেস্টার যন্ত্রটা। এমনই বলছেন কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ ইয়াং-সিওক পার্ক।
কোরিয়া থেকে এই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে নেচার পত্রিকায়।