ক্রিস্টোফার কলমবাস আমেরিকায় পা রেখেছিনেন ১৪৯২ সালে। ক্রিস্টোফার কলম্বাসেরও আগে ইউরোপীয়রা পা রেখেছিল উত্তর আমেরিকায় – গবেষণায় উঠে এসেছে এই চমকপ্রদ তথ্য। গত ২০ ই অক্টোবর নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধে গ্রোনিনগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূবিজ্ঞানী মার্গট কুইটিম, মিচেল ডি ও সহযোগীরা জানাচ্ছেন অধুনা কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডের উত্তর পেনেনসুলাতে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক ক্ষেত্র থেকে পাওয়া গেছে প্রাচীন ‘কাটা কাঠের গুঁড়ি’। সম্ভবত এই কাঠ কোনো কিছু নির্মাণের কাজের ব্যবহার হয়ে থাকবে। কাঠের গুঁড়ির রিং গুনে দেখা যায় ঐ কাঠ ব্যবহার হয়েছিল দশম শতাব্দীতে। ১০২১ সাল নাগাদ। প্রসঙ্গত গাছের বয়স নির্ণয়ের অন্যতম পদ্ধতি গুঁড়ির রিং কাউন্টিং।
পেনেনসুলার যে প্রত্নতাত্ত্বিক ক্ষেত্রের কথা বলা হচভহে সেটির পারিভাষিক নাম ‘ল্যানসে অক্স মেডাওস’। এটি বর্তমানে ইউনেক্সোর একটি হেরিটেজ সাইট।১৩ শতাব্দির আইসল্যান্ডের কিছু টেক্সটে ল্যানসে ওব মেডাওক্স এ জলদস্যুদের বসবাসের কথা পাওয়া যায়। কুইটিমদের ধারণা প্রায় হাজার বছর আগে নরওয়েদেশীয় জলদস্যুরা এখানে কাঠ ঘাসের আস্তরনে গড়ে তুলেছিল বসতবাড়ি – সাময়িক আশ্রয়স্থল। প্রথম প্রচেষ্টাটি ছিল আরো প্রাচীন, যেটি বর্তমানে হেরিটেজ হিসেবে চিনি সেটা সম্ভবত দ্বিতীয় প্রচেষ্টা – অনুমান কুইটিমদের। কুইটমরা মূলত ৪টি কাঠের বস্তুর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন অত্যাধিক। এগুলি প্রথম পাওয়া গেছিল ১৯৬০ সালে। এদের মধ্যে তিনটি কাঠের বস্তু যেগুলি কাটা হয়েছিল ধাতব অস্ত্র দিয়েই, তার রেডিওকার্বন স্তরে রিং স্পাইক কাউন্ট করেই কুইটিম, ডি ও সহকারী রা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান কাঠের বস্তু গুলি হাজার বছরের প্রাচীন ও ১০২১ সাল নাগাদ ব্যবহৃত। কিন্তু ঠিক কিভাবে এই তিনটি কাঠের বস্তু ব্যবহার করতো জলদস্যুরা সে নিয়ে নিশ্চিত সিদ্ধান্তে আসতে পারেন নি গবেষকরা।