খুব দূর নয় পৃথিবী থেকে, আবিষ্কৃত নতুন জোড়া গ্রহের একটা বাসযোগ্যও বটে

খুব দূর নয় পৃথিবী থেকে, আবিষ্কৃত নতুন জোড়া গ্রহের একটা বাসযোগ্যও বটে

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ১৬ জানুয়ারী, ২০২৩

মহাকাশে রেড ডোয়ার্ফ বলে একপ্রকার নক্ষত্র দেখা যায়। এরা ক্ষয়িষ্ণু এবং একটা নির্দিষ্ট সময় পর ক্রমে সাদা হতে হতে বিস্ফোরণে বিনষ্ট হবে এই তারাগুলো। পৃথিবী থেকে ১০৫ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত TOI-4306 এমনই এক লাল বামন নক্ষত্র। এই তারাকে কেন্দ্র করেই ঘুরছে দুই গ্রহ। এদের মধ্যে অন্তত একটা গ্রহ মানুষের জন্য বসবাসের যোগ্য হতে পারে।
ঠাণ্ডা নিভুনিভু ঐ লাল বামনের চারপাশে ঘুরছে পাথুরে দুই গ্রহ। গ্রহ না বলে এক্সোপ্ল্যানেট বলাই ভালো। বা সুপারআর্থ। নেপচুনের চাইতে ছোট কিন্তু পৃথিবীর তুলনায় আকারে বড়ো কোনও গ্রহ যদি সূর্য ছাড়া অন্য কোনও নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘোরে, তখনই তাদের সুপারআর্থ বলা চলে।
বেলজিয়ামের লিয়েজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশবিদ শ্রীমতী লাটিশিয়া ডেলরেজ ও তাঁর দল নিযুক্ত ছিলেন এই গবেষণায়। ওনারা স্পেকুলোস নামক মহাকাশ সহযোগ কেন্দ্রের টেলিস্কোপগুলো ব্যবহার করেছিলেন। যে দুটো গ্রহ খুঁজে পাওয়া গেছে তাদের নাম LP 890-9b LP 890-9c যথাক্রমে। প্রথমটার ব্যাস পৃথিবীর ১.৩২ গুণ, ওজনে ১৩ গুণ বেশি। দ্বিতীয় গ্রহের ব্যাস পৃথিবীর ১.৩৭ গুণ, ওজন প্রায় ২৫ গুণ।
এই দু নম্বর সুপারআর্থকে ঘিরেই চর্চা জমে উঠেছে বিজ্ঞানী মহলে। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ থেকেও শনাক্ত করা গেছে গ্রহটাকে। যদিও কিছুটা ব্যাঙ্গের সুর জার্মানির বার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রবার্ট ওয়েলসের গলায়। ওনার মতে, ঠিকঠাক জায়গা খুঁজে পাওয়া মানেই সেটা আরামের সমুদ্রতট নয়। আরও খুঁটিনাটি বিষয় জানা দরকার। বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী অ্যামোরি ট্রিওড কিন্তু আশাবাদী। তিনি বলছে, যত বেশি এক্সোপ্ল্যানেট খুঁজে পাওয়া যাবে ততই পরিষ্কার হবে কীভাবে ব্রহ্মাণ্ডে জীববৈচিত্র্য সৃষ্টি হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one + ten =