খোঁজ শুরু শ্যাকলটনের ডুবে যাওয়া তরীর

খোঁজ শুরু শ্যাকলটনের ডুবে যাওয়া তরীর

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

স্যার আর্নেস্ট শ্যাকলটনের ‘এনডিউর্যাান্স জাহাজ’। ১০৫ বছর আগে কাঠের তৈরি যে জাহাজ অ্যান্টার্কটিকা অভিযানে গিয়ে হারিয়ে গিয়েছিল। সেই যাত্রাকে বলা হয় ‘অ্যামেজিং এসকেপ’ বা অভূতপুর্ব পলায়ন। ১৯১৪-য় শ্যাকলটন অ্যান্টার্কটিকার প্রথম সীমারেখা অতিক্রম করতে পেরেছিলেন। কিন্তু অভিযান শেষ করতে পারেননি। তিন বছর পর, ২০১৭-য় অ্যান্টার্কটিকার ওয়েডেল সমুদ্রে ওই জাহাজ ডুবে যায়। শুধু জাহাজ নয়, শ্যাকলটন সহ জাহাজের যাত্রীদেরও সলিল সমাধি হয়ে গিয়েছিল। ১৯১৭-র পর থেকে অসংখ্যবার অভিযান চালানো হয়েছে ডুবে যাওয়া জাহাজকে খুঁজে বার করার। কিন্তু পাওয়া যায়নি জাহাজের ধ্বংসাবশেষ, অতগুলো মানুষের মৃতদেহ! ২০২২-এ আবার খোঁজ শুরু হল শ্যাকলটনের হারিয়ে যাওয়া জাহাজের। মেনসুন বাউন্ড নামের এক সামুদ্রিক প্রত্নতত্ববিদের নেতৃত্বে এক অভিযাত্রীর দল আবার রওনা দিচ্ছে অ্যান্টার্কটিকা। আয়োজনে ফকল্যান্ড মেরিটাইম হেরিটেজ ট্রাস্ট। ওয়েডেল সমুদ্রের গভীরে নামবে সেই দল। মেনসুন বলেছেন, “গভীরতা তিন হাজার মিটার। অভিযানের পক্ষে কঠিন নয়। কিন্তু আমাদের সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ ওয়েডেল সমুদ্রের বিভ্রান্তিকর চরিত্র। কারণ ওয়েডেল সমুদ্রের নীচে রয়েছে বিশাল বিশাল বরফের চাঁই। আর সেগুলো সবসময় ক্লক-ওয়াইজ ঘুরতে থাকে। বরফের ঘূর্ণন প্রক্রিয়াকে এর আগে কেউ বুঝতে পারেনি বলে, সমুদ্রের নীচে একটা স্তর পর্যন্ত নেমে আবার উঠে আসতে হয়েছে।” সেই কারণে এবার মেনসুনদের সঙ্গে জলের একটা স্তরের পর থেকে নীচে নামবে মিনি-সাবমেরিন। যার নাম সেবারটুথ। সেই রোবটে বরফের ঘূর্ণন প্রক্রিয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য যন্ত্র বসানো আছে। মেনসুন বাউন্ড আশা করছেন এবার হয়ত খালি হাতে আর ফিরতে হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × two =