গবেষকরা ইলেক্ট্রনিক সয়েল ব্যবহার করে গাছের বৃদ্ধি বাড়িয়েছেন

গবেষকরা ইলেক্ট্রনিক সয়েল ব্যবহার করে গাছের বৃদ্ধি বাড়িয়েছেন

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

একটি নতুন উদ্ভাবিত ই-সয়েল বার্লির চারার শিকড়কে উদ্দীপিত করে গড়ে ৫০ শতাংশ বেশি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেছে। হাইড্রোপনিক্সের মতো মাটিহীন চাষ পদ্ধতির জন্য স্বল্প-শক্তির বায়োইলেক্ট্রনিক বস্তু ব্যবহার করা যেতে পারে। লিংকোপিং ইউনিভার্সিটির জৈব ইলেকট্রনিক্সের ল্যাবরেটরির সহযোগী অধ্যাপক এলেনি স্ট্যাভ্রিনিডু হলেন ইলেকট্রনিক প্ল্যান্টস গ্রুপের নেতা যিনি হাইড্রোপনিক চাষের জন্য বৈদ্যুতিক পরিবাহী চাষের স্তর তৈরি করেছেন যেটিকে তারা ই-সয়েল নাম দিয়েছেন।
হাইড্রোপনিক্স বলতে জল-ভিত্তিক পুষ্টির দ্রবণ, নারকেল ছোবড়া বা পার্লাইটের মতো মাধ্যম ব্যবহার করে মাটি ছাড়া গাছপালা বৃদ্ধির কৌশলকে বোঝায়। এই সিস্টেমে জলকে পুনঃসঞ্চালন করে নিশ্চিত করা হয় যে প্রতিটি চারা যেন তার প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুলি পায়। অর্থাৎ এই পদ্ধতিতে খুব কম জল প্রয়োজন এবং সমস্ত পুষ্টি সিস্টেমের মধ্যে থাকে। হাইড্রোপনিক সিস্টেমে প্রায়শই হাইড্রোপনিক্সে চাষের স্তর হিসাবে খনিজ উল ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই উলগুলি জৈবভাবে বিনষ্ট হয় না এবং শক্তি-নিবিড় প্রক্রিয়া ব্যবহার করে উৎপাদিত হয়। ই-সয়েল সেলুলোজ দিয়ে তৈরি একটি বায়োপলিমার যা PEDOT নামক পরিবাহী পলিমারের সাথে মিশ্রিত হয়। এই সংমিশ্রণটি নতুন নয় তবে এটি প্রথমবারের মতো উদ্ভিদ চাষের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। পূর্ববর্তী গবেষণায় শিকড় উদ্দীপিত করার জন্য উচ্চ ভোল্টেজ ব্যবহার করেছে কিন্তু ই-সয়েলের সুবিধা হল এটিতে খুব কম শক্তি ব্যবহার হয় এবং এতে উচ্চ-ভোল্টেজজনিত বিপদ নেই। গবেষণায় দেখা গেছে যে হাইড্রোপনিক্স ব্যবহার করে বার্লি চারা চাষ করা যেতে পারে এবং বৈদ্যুতিক উদ্দীপনার কারণে তাদের বৃদ্ধির হার আরও ভালো। বিশ্বের জনসংখ্যা বাড়ছে, তার সাথে জলবায়ু পরিবর্তনও যুক্ত হয়েছে। সুতরাং এটা স্পষ্ট যে আমরা শুধুমাত্র বিদ্যমান কৃষি পদ্ধতি দিয়ে গ্রহের খাদ্য চাহিদা পূরণ হবে না। কিন্তু হাইড্রোপনিক্সের সাহায্যে, আমরা খুব নিয়ন্ত্রিত শহুরে পরিবেশেও খাদ্য বৃদ্ধি করতে পারি। গবেষকদের মতে, কম সম্পদের সাথে দ্রুত চারা বৃদ্ধির জন্য ই-সয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে। এর সাথে কোন জৈবিক প্রক্রিয়া জড়িত, তা স্পষ্টভাবে বোঝা না গেলেও চারাগুলি নাইট্রোজেনকে কার্যকরভাবে প্রক্রিয়া করে তা বোঝা গেছে। তারা জানিয়েছেন, বৈদ্যুতিক উদ্দীপনা কীভাবে এই প্রক্রিয়াটিকে প্রভাবিত করে তা এখনও স্পষ্ট নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 1 =