গমের শীষের বিবর্তনের গল্পটা কেমন?

গমের শীষের বিবর্তনের গল্পটা কেমন?

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ৪ মার্চ, ২০২৩

গল্পের শুরু আজ থেকে ১২০০০ বছর আগে। নিওলিথিক যুগের প্রথম মনুষ্য সমাজ মধ্য প্রাচ্যে যখন শুভযাত্রা শুরু করল তখন সেখানের খাদ্য, চাষবাস আর অর্থনীতির ধাঁচাটা একেবারেই বদলে গেলো। গম আর বার্লির মতো খাদ্যশস্যের চাষ, গবাদি পশুর প্রতিপালনের মধ্যে দিয়েই সভ্যতার ইতিহাসের প্রথম দিককার শহরগুলো তৈরি হতে থাকল। অর্থাৎ, বলাই যায় যে সভ্যতার গতি পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তিই লুকিয়ে ছিল গম বা গমের মতো খাদ্যশস্যের মধ্যেই।
সম্প্রতি বার্সেলোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটা গবেষণাপত্র প্রকাশ করা হল ‘ট্রেন্ডস ইন প্ল্যান্ট সায়েন্স’ পত্রিকায়। সহায়তায় ছিলেন ‘দ্য অ্যাগ্রোটেকনিও সেন্টার’ আর লেইডা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরাও। গমের চাষ শুরুর সময় থেকে গমের শীষের বিবর্তন কীভাবে ঘটেছে তা’ই নিয়ে। প্রাচীন মেসোপটেমিয়া সভ্যতার মানবগোষ্ঠী টাইগ্রিস আর ইউফ্রেটিস নদীর মাঝখানের দোয়াব অঞ্চলে প্রথম গমের চাষ প্রবর্তন করেছিলেন।
গবেষকরা বলছেন, সেই সুপ্রাচীন সময় থেকেই একটা বন্য শস্যকে খাদ্যশস্যে রূপান্তরিত করার দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় প্ল্যান্ট ফেনোটাইপে দুই প্রকারের পরিবর্তনই হয়েছে। এক, কয়েকশো বছরের মধ্যে দ্রুত বদল আর দুই, কয়েক হাজার বছর ধরে ধীর গতির পরিবর্তন। যেমন, কাণ্ড দুর্বল হয়েছে কিংবা বীজের মাপ বেড়েছে, অথবা শস্যশূকের অবলুপ্তি। শূকযুক্ত আর শূকহীন গমের বৈচিত্র্য সারা পৃথিবী জুড়েই আছে। কিন্তু দ্বিতীয়টা প্রচুর পরিমাণে ফলে শুকনো অঞ্চলগুলোতে। বসন্তের শেষদিকে গম উৎপাদনের শেষ দশায় ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী এলাকায় এই দ্বিতীয় প্রকারের শূকহীন গম বেশি হয়।