গলা বরফেও বেঁচে রয়েছে শ্বেত ভাল্লুকরা!

গলা বরফেও বেঁচে রয়েছে শ্বেত ভাল্লুকরা!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৩ জুন, ২০২২

বিশ্ব উষ্ণায়নে গলছে দুই মেরুর বরফ। ফলে বিপন্ন বাস্তুতন্ত্র। পশুপাখিরা দাঁড়িয়ে বিলুপ্তির পথে। তবে তার মধ্যেও কোনও কোনও প্রাণী পরিবর্তিত উষ্ণ আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ারও চেষ্টা করছে। যেমন দক্ষিণ-পূর্ব গ্রিনল্যান্ডের অধিবাসী শ্বেতভল্লুকদের একটি উপ-প্রজাতি। গবেষণা বলছে, এই শ্বেতভল্লুকরা হিমশিলা ভাঙা গলন্ত বরফ থেকেই খুঁজে নিচ্ছে শিকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, উষ্ণতা বাড়ায় আরও বিপন্ন শ্বেতভল্লুকরা। কিন্তু তাদেরই এই উপ-প্রজাতিটির উষ্ণ তাপমাত্রা সহ্য করার ক্ষমতা দেখা যাচ্ছে। সংখ্যায় তারা কয়েকশো। কিন্তু বরফ গলা জলে দিব্যি জীবনধারণ করতে পারছে তারা। এছাড়া স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং, টিস্যু স্যাম্পেল সহ অন্যান্য তথ্য সংগ্রহের পর দেখা গিয়েছে, এই ভাল্লুকরা তাদের জাতভাইদের থেকে কিছুটা আলাদাভাবেই বসবাস করে। এবং অন্যান্য শ্বেত-ভল্লুকদের সঙ্গে এদের সুক্ষ্ম জিনগত পার্থক্যও রয়েছে। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানী ক্রিস্টিন লেইড্রের কাছে তথ্যটি একেবারেই অনভিপ্রেত। তিনিই শ্বেতভল্লুকদের নিয়ে গবেষণাপত্রটির রচয়িতা। প্রায় দু’দশক ধরে গ্রিনল্যান্ডে জলজ স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বাস্তুতন্ত্র নিয়ে কাজ করছেন ক্রিস্টিন। এবং সাদা ভাল্লুকদের গতিবিধি লক্ষ করতে গিয়ে চোখে পড়েছে এই উপ-প্রজাতিটির নানা বৈশিষ্ট্য। কয়েকশো বছর ধরে ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে তাদের বাঁচার কথাটিও স্থান পেয়েছে গবেষণায়। যদিও এই সাদা ভাল্লুকদের খাদ্যাভ্যাস দক্ষিণ পূর্ব গ্রিনল্যান্ডের তুলনামূলকভাবে উষ্ণ আবহাওয়ার মানানসই। তবে তাপমাত্রা আরও বাড়লে এই প্রজাতিটিও সংকটের মুখে পড়বে–এরকমই আশঙ্কা ক্রিস্টিন ও অন্যান্য বিজ্ঞানীদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two + 15 =