গায়েব হয়ে যাবে প্রশান্ত মহাসাগর?

গায়েব হয়ে যাবে প্রশান্ত মহাসাগর?

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

সুপারকম্পিউটারে নির্মিত কাল্পনিক গঠনে দেখা যাচ্ছে, প্রশান্ত মহাসাগরের মৃত্যু নিশ্চিত। নির্দিষ্ট সময়ও বেঁধে দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা!
যদিও সুখের কথা সেই ভয়ঙ্কর দিন আজ থেকে ৩০০ মিলিয়ন বছর পরে আসবে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে পৃথিবীর বৃহত্তম মহাসাগর। এমনিতেই ফি বছর কয়েক সেন্টিমিটার করে সংকুচিত হতে থাকে এই সুবিশাল সুনীল জলভাগ। বহুকাল আগে প্রশান্ত মহাসাগর আকারে আজকের তুলনায় আরও বড়ো ছিল।
আপাতভাবে শান্ত এই মহাসমুদ্রের তলায় কিন্তু প্লেট টেক্টোনিকের বিধ্বংসী খেলা চলতেই থাকে। প্লেটগুলো কখনও একটার তলায় একটা ঢুকে যায়। কিংবা একটার ঘাড়ে একটা উঠে পরে। সমুদ্রের একেবারে তলদেশে তাই কোনও স্থিরতা নেই। প্রতি বছর ইউরেশীয় প্লেট আর ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের তলায় কয়েক সেন্টিমিটার হারে নেমে যেতে থাকে প্যাসিফিক প্লেট। বোঝাই যাচ্ছে এর ফলে উত্তর অ্যামেরিকা, এশিয়া আর অস্ট্রেলিয়ার দূরত্ব ক্রমাগত হ্রাস পায়। বিজ্ঞানীরা যুক্তি দিচ্ছেন, কালক্রমে পৃথিবী জুড়ে আবার এক অখণ্ড মহাদেশ তৈরি হতে পারে। নাম দেওয়া হয়েছে অ্যামেশিয়া।
গবেষণাপত্রের মুখ্য লেখক চুয়াং হুয়াং বললেন, ব্যাপারটা ঘটতে বড়জোর ৩০০ মিলিয়ন বছর সময় লাগতে পারে। তদ্দিনে একেবারেই গায়েব হয়ে যাবে প্রশান্ত মহাসাগর। যদিও আরেকটা অতিবৃহৎ মহাদেশের কল্পনাও উঠে আসছে, নাম অরিকা। সেক্ষেত্রে অ্যাটলান্টিক আর প্রশান্ত মহাসাগর দুটোই গায়েব হয়ে একটামাত্র সুবিশাল মহাসাগর খাতের জন্ম হবে।
তবে যাই হোক না কেন, আমাদের এই চেনা পুরাতন পৃথিবীর ছবিটা অনন্তকাল ধরে একই থাকবে না – এটা নিশ্চিত। গবেষণাটা প্রকাশ পেয়েছে সম্প্রতি ন্যাশানাল সায়েন্স রিভিউ পত্রিকায়।