গুবরে পোকা করছে ছত্রাকের চাষ, বেশ হিসেবিও তারা

গুবরে পোকা করছে ছত্রাকের চাষ, বেশ হিসেবিও তারা

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৪ নভেম্বর, ২০২২

জার্মানির ফ্রেইবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ডক্টরাল ছাত্রী জানিনা ডিহল। উনি সম্প্রতি জাইলেবোরিনাস সাক্সিসেনি নামক ফলের গাছের গুবরে পোকা নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন। অ্যাম্ব্রোসিয়া প্রজাতির এই গুবরে পোকার নাকি চাষাবাদে আগ্রহ আছে! প্রোসিডিংস অফ রয়্যাল সোসাইটি পত্রিকায় ওনার এই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে কয়েকদিন আগেই।
পাতা-কাটা পিঁপড়ে আর উইপোকাদের সাথে একই তালিকায় এবার থেকে জায়গা পাবে এই অ্যাম্ব্রোসিয়া গুবরে পোকা। এদের সবারই কৃষিকাজের দক্ষতা আছে।
সাধারণভাবে পুরনো গাছ আছে এমন বাগানে ঘাঁটি গাড়ে এই বোরার বিটেল। কাণ্ডের ভেতর নালিপথ তৈরি করে সেখানে বেড়ে ওঠা ছত্রাকে পেট ভরে এই পোকার। যেমনটা উঠে এসেছে গবেষণাপত্রে, জানিনা ডিহল পরীক্ষাগারে একটা মা গুবরে পোকাকে নিয়ে পর্যবেক্ষণ চালিয়েছেন। সেখানে সদ্যোজাত পোকাদের নিয়ে একসারি বাসা বানিয়েছে ঐ মা পোকা। আর সেই বাসাতেই ছত্রাকের বাগান তৈরি হয়েছে। তারপর ঐ মা পোকা তার বাচ্ছাদের কয়েকটা বাসা থেকে সরিয়ে অন্য বাসায় নিয়ে যায় – এটাই সবচেয়ে অভিনব ব্যাপার।
৪০দিন পর দেখা গেল, নতুন বাসাতে ছত্রাকের গুচ্ছ অন্যভাবে তৈরি করে নিয়েছে গুবরে পোকার দল। কিন্তু ঐ বাসাতে ছত্রাকের ভাণ্ডার শেষ হয়ে যাওয়ার কথা, যেহেতু পোকারা সেগুলো খেয়ে ফেলছে। কিন্তু তেমনটা হয়নি। বরং ঐ বাসাগুলোতেই ছত্রাকের পরিমাণ বেড়ে গেছে, এমনটাই জানিয়েছেন ডিহল। আবার, যে বাসাতে পোকারা বড়ো হচ্ছিল না সেখানে আগাছা ছত্রাকের পরিমাণ বেশি দেখা গেছে। অর্থাৎ, ছত্রাকের কোন অংশটা খাবারের জন্যে আর কোন অংশটা পরিত্যাজ্য সেটা বেশ ভালোভাবেই চেনে এই প্রজাতির গুবরে পোকারা।
ফ্রেইবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ পিটার বিয়েডারম্যান বলছেন গুবরে পোকা আর ছত্রাকের মধ্যে একপ্রকার মিথোস্ক্রিয়া বিদ্যমান।