গ্রিন ইন্টারনেট – সেটা কী বস্তু?

গ্রিন ইন্টারনেট – সেটা কী বস্তু?

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ১৫ এপ্রিল, ২০২৩

পাতলা ফিল্ম দিয়ে তৈরি ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্র কি সুরাহা হবে? যদি প্রচলিত উপাদানের বদলে বিকল্প অর্ধপরিবাহী ব্যবহার করা যায় তাহলে? প্রিন্টযোগ্য অরগানিকস, ন্যানোকার্বন অ্যালোট্রপস কিংবা ধাতব অক্সাইডকে যদি সেমিকন্ডাক্টর বা অর্ধপরিবাহী হিসেবে কাজে লাগানো হয় তাহলে শুধু সেটা সাশ্রয়ী হবে না, পরিবেশের দিক থেকেও কম ক্ষতিকারক হবে। সৌদি আরবের কিং আবদুল্লা ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির গবেষকরা এমনই প্রস্তাব রেখেছেন এক গবেষণাপত্রে।
নেচার পত্রিকার ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগে বেরিয়েছে এই গবেষণার খবর। রোজকার জীবনে আর অন্য নানা শিল্পক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে চলেছে এই ‘ইন্টারনেট অফ থিংস’ বা সংক্ষেপে আইওটি। রিমোটে চলা নিরাপত্তা ব্যবস্থা কিংবা চালকবিহীন গাড়ি – আরও নানান ধরণের ছোট বড়ো ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতির ধাঁচটাই পাল্টে যাবে।
আগামী কয়েক দশকে কয়েক ট্রিলিয়ন ডিভাইসে এই হাইপারনেটওয়ার্ক পৌঁছে যেতে পারে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ইন্টারনেট, সেন্সর, কমিউনিকেশন সবক্ষেত্রেই বিপ্লব আসতে চলেছে। বর্তমানে যে ব্যবস্থা চালু আছে তাতে ব্যাটারির দরকার। কিন্তু ব্যাটারি পাল্টাতে হয় বারবার। তাতে খরচের বহর যেমন বাড়ে তেমনই পরিবেশের ক্ষতির ঝুঁকিটাও নেহাত কম নয়। লিথিয়াম ব্যাটারির উৎপাদন আর চাহিদার মধ্যে এই মুহূর্তে খুব সামঞ্জস্য নেই। চাহিদার সাপেক্ষে জোগান কম বলে দাম চড়াই থাকে। সেই সমস্যা মোকাবিলা করা সহজ হবে বলেই মনে করছেন গবেষকরা।