গ্রিন হাইড্রোজেনের শিল্প সম্ভাবনা বিপুল। এবং সেটা এখনও গোটা পৃথিবী জুড়েই অঙ্কুর অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু এই ক্রমবর্ধমান শিল্পে ভারতকে বৈশ্বিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য ইতিমধ্যেই উদ্যোগী প্রশাসন। সরকারের তরফ থেকে ২.৩ বিলিয়ন ডলার অর্থের অনুমোদন করা হয়েছে। দেশের মধ্যে গ্রিন হাইড্রোজেনের ব্যবহার আর বিদেশে রপ্তানির জন্যই এই বড়ো অঙ্কের প্রাথমিক বিনিয়োগ।
গত সপ্তাহে বুধবার এই অনুদান ঘোষিত হয়েছে। আনুমানিক ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদন সম্ভব হবে এই চলতি দশকের শেষে গিয়ে। সরকারের লক্ষ্য তেমনটাই।
গ্রিন হাইড্রোজেন তৈরি করা হয় কীভাবে? জলের তড়িৎ বিশ্লেষণ করে। কিন্তু তাতে ব্যবহৃত বিদ্যুৎশক্তি আসে অপ্রচলিত উৎস থেকে। অর্থাৎ পৃথিবীর বাকি হাইড্রোজেন যেমন জীবাশ্ম জ্বালানী ব্যবহার করে উৎপাদিত হয়, এখানে পদ্ধতিটা তেমন নয়।
দেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন, অনুদান দেওয়ার লক্ষ্যই হচ্ছে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে গ্রিন হাইড্রোজেনের উৎপাদন খরচ আর দাম কমিয়ে আনা। এতে করে কার্বন দূষণের পরিমাণ ভারতে কমবে। সাথে সাথে গ্রিন হাইড্রোজেনের বড়ো রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে উপরের সারিতে উঠে আসবে ভারত।
গত বছরের অক্টোবর মাসের হিসেব বলছে, নতুন পরিবেশবান্ধব শক্তির জোগান ভারতে ১৬৬ গিগাওয়াট। গ্রিন হাইড্রোজেনে আর্থিক বিনিয়োগ অনুমোদনের পর ২০৩০ সালের শেষে গিয়ে যোগ হবে আরও ১২৫ গিগাওয়াট। শুধু তা’ই নয়, ৫ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বেসরকারি বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়বে বলেই আশা দেশের শক্তিমন্ত্রকের। খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো জীবাশ্ম জ্বালানীর আমদানি কমবে। গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কাটছাঁট করা যাবে ৫০ মিলিয়ন মেট্রিক টন।