ঘরোয়া মাছির বিপদ কম নয়, সাবধান করছেন বিজ্ঞানী

ঘরোয়া মাছির বিপদ কম নয়, সাবধান করছেন বিজ্ঞানী

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

খাবারে মাছি বসলে উড়িয়ে দিলেই চলে। কিন্তু মাছি মুখ দিয়ে যে নোংরা ওগরায় সেটা সংক্রামক জীবাণুতে ভর্তি। এ নিয়ে অ্যামেরিকার অ্যামহার্স্টের ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী জন স্টোফোলানো নতুন এক গবেষণা চালিয়েছেন।
এমনিতে মুস্কা ডোমেস্টিকা প্রাণঘাতী নয়। কিন্তু তাদের রোগ ছড়ানোর ক্ষমতাও কম নয়। সাধারণ মাছির খাদ্যনালীর আগাতে ক্রপ নামের একটা ছোট্ট অঙ্গ থাকে। খাবার পরিপাক হওয়ার আগে এখানেই আগে জমে। এই অঙ্গেই অণুজীব আর পরজীবীদের নিরাপদ বসবাস, এমনই বলছেন স্টোফোলানো। মাছি উড়ে এসে খাবারে বসলেই ঐ ক্রপ অঙ্গটা থেকে কিছু কিছু নোংরা আর উৎসেচক ঐ খাবারে লেগে যায়। বিপদ সেখানেই।
কোভিড-১৯ এর বাড়বাড়ন্তের সময় সংক্রমণের অনেক সাধারণ উৎস বিজ্ঞানীদের চোখ এড়িয়ে যাচ্ছিল। প্রোফেসর স্টোফোলানো নিজের জীবনের অনেকটা সময় মুসা ডোমেস্টিকার গবেষণায় কাটালেও কতটা বিপদ তিনিও বুঝে উঠতে পারেননি এতদিন। নতুন এই গবেষণা থেকে সচেতনতা আর রোগনির্ণয়ে সুবিধে হবে বলেই মত ওনার।