অবাধে কেটে ফেলা হচ্ছে গাছ। তাই বাড়ছে উষ্ণতা। শুধুমাত্র কলকাতা শহরে গত পাঁচ বছরে প্রায় ৩০% গাছ কমে গেছে। সমস্যা শুধু কলকাতা শহরের নয়। আর এই গরমের কারণে বঈদ্যুতিন পাখা, এসি ইত্যাদির ব্যবহারও বাড়ছে। এতে একদিকে যেমন বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি এসির মতো যন্ত্র গ্রীন হাউস গ্যাস তৈরি করছে যা উষ্ণতা বৃদ্ধিতে আরও ভয়ানক।
অতিরিক্ত গরমের দিনে ঘর শীতল রাখার প্রাকৃতিক উপায় বাতলেছেন মালদহ শহরের কৃষ্ণপল্লী এলাকার বাসিন্দা জীবন বিজ্ঞান শিক্ষিকা মধুছন্দা মণ্ডল। এই উপায়ে একদিকে যেমন সবুজায়ন হবে। অন্যদিকে বিদ্যুতের ব্যবহার না করেই ঘরকে রাখা যাবে শীতল। মধুছন্দা মূলত ইণ্ডোর প্ল্যান্ট ও ছাদ বাগানের কথা বলেছেন।
তবে নেহাত শখের বসে দু একটা ইন্ডোর প্ল্যান্ট লাগানোই যথেষ্ট নয়। মধুছন্দা অবসর সময়ে গড়ে তুলেছেন গোটা বাড়ি জুড়ে আস্ত একটা বাগান। দেশি বিদেশি নানা প্রজাতির গাছ রয়েছে তাঁর বাগান জুড়ে। তাঁর বাগানে বর্তমানে গাছের সংখ্যা প্রায় ৫০০ র বেশি। আরো আনন্দের কথা হলো মধুছন্দা নিজে যে কেবল উদ্যোগী হয়েছেন তা নয়। সহকর্মী ও পরিচিতদেরও গাছ লাগানোতে উৎসাহিত করছেন প্রতিনিয়ত। নিজের উদ্যোগেই তাঁদের মধ্যে বিলি করছেন নিজেরই বাড়িতে তৈরি করা চারা। বিনামূল্যেই। এদের মধ্যে রয়েছে তুলসি,বেলি, করবী, সহ নানা দেশী প্রজাতির গাছ,আবার মানিপ্ল্যান্ট, ড্রাকিলা, এরিকা পাম স্পাইডার প্ল্যান্ট ইত্যাদিও।
শিক্ষিকা মধুছন্দা বলেন, ইন্ডোর প্ল্যান্ট ঘরে কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন, ইত্যাদি বিষাক্ত গ্যাস শোষণ করে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ায়। এরফলে খুব গরমে খানিক হলেও তাপমাত্রা কিছু কম থাকে ঘরের।