চরিত্রের একটা দোষেই ডিভোর্স হতে পারে অ্যালবাট্রোসের

চরিত্রের একটা দোষেই ডিভোর্স হতে পারে অ্যালবাট্রোসের

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২

দক্ষিণ গোলার্ধ চষে বেড়ায় এরা। দশ ফুট লম্বা ডানা নিয়ে এই পাখী কিন্তু একগামী। নাম – অ্যালবাট্রোস। এদের গড় আয়ু ৫০ বছর হলেও সারা জীবনের বেশিটাই ডানায় ভর করে আকাশ ভ্রমনেই কাটে। বছর দুয়েক ছাড়া একই সঙ্গীর সাথে মিলনে লিপ্ত হয়ে এরা বংশবিস্তার করে থাকে।

অ্যালবাট্রোসের ক্ষেত্রে সম্পর্কছেদ খুবই বিরল ঘটনা। কিন্তু বায়োলজি লেটার্স পত্রিকায় প্রকাশিত এক গবেশনাপত্রে আলোচিত হয়েছে অ্যালবাট্রোসের ডিভোর্সের কারণ। মুখ্য গবেষক রুইজিয়াও সান বলছেন, প্রজননের সাফল্য যদি খুব কম হয় তাহলে সঙ্গী বদলায় এই পরিযায়ী পাখী। অ্যামেরিকার উডস হোল ওশিয়ানোগ্রাফিক ইন্সটিটিউটের পিএইচডির ছাত্র ইনি।

অভিনব এক তথ্যভাণ্ডার তৈরি করা হয়েছিল অ্যালবাট্রোসের ব্যক্তিগত জীবন অনুসন্ধানে। কাজ চলছে ১৯৫৯ সাল থেকেই। ভারত মহাসাগরের দক্ষিণাংশে ক্রোজেট দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্গত একটা ছোট্ট দ্বীপ হল পোজেশান আইল্যান্ড। এই দ্বীপের একঝাঁক আলবাট্রস পাখীকে নিয়ে পরীক্ষা শুরু হয়। পাখীদের পায়ের নখে স্টেনলেস রিং পরিয়ে একটা সংখ্যা দিয়ে তাদের চিহ্নিত করা হত। সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী স্টেফানি জেনোভ্রিয়ের এমনটাই জানাচ্ছেন। উনিও যুক্ত ছিলেন এই গবেষণায়। তাতে করেই পরিযায়ীদের ইতিহাস জানা সম্ভব হয়েছে নিখুঁতভাবে।

দেখা গেছে, মুখচোরা অ্যালবাট্রোসদের ভাগ্যেই বিচ্ছেদের দাঁড়ি পড়ার সম্ভাবনা বেশি। চুপচাপ হলে প্রজননে অসুবিধে হয়। চরিত্রের একটামাত্র খুঁতেই ডিভোর্স দিতে পারে সঙ্গী বা সঙ্গিনী।