চাঁদের ম্যাগনেটিক ফিল্ড

চাঁদের ম্যাগনেটিক ফিল্ড

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
Default Alt Text

বিশ্ব ব্রম্ভাণ্ডের সমস্ত বস্তুর গ্র‍্যাভিটি থাকলেও সৌরজগতে বা তার বাইরেও বিভিন্ন গ্রহ গুলির ক্ষেত্রে সকলের ম্যাগনেটিক ফিল্ড থাকে না। বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি হতে পারে কোনো গ্রহে। গ্রহ যখন জন্মের পর ধীরে ধীরে শীতল হয় তখন গ্রহের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের ধাতুর সংবহন শুরু হয়- এর মাধ্যমেই সৃষ্টি হয় শক্তিশালী ম্যাগনেটিক ফিল্ড। আশ্চর্যের ব্যাপার পৃথিবীর এই ম্যাগনেটিক ফিল্ড আছে। যার ফলে সূর্যের বিভিন্ন ক্ষতিকর রশ্মি ঢুকতে পারে না পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে। ভাবতে অবাক লাগে পৃথিবীতে প্রাণটুকুর জন্যে কত আয়োজন।
আরো অবাক লাগে একথা ভাবলে পৃথিবীর ম্যাগনেটিক ফিল্ড আছে, অথচ পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদের ম্যাগনেটিক ফিল্ড নেই! কিন্তু কোনো দিন কি চাঁদের ম্যাগনেটিক ফিল্ড ছিল না? মানে সৃষ্টির আদি থেকে? এ প্রশ্ন বহুদিনের। চাঁদে সফল ভাবে প্রথম বার অভিযান থেকে শুরু করে আজ ইস্তক বিভিন্ন ভাবে এপ্রশ্নের উত্তর খুঁজতে পরীক্ষা নীরিক্ষা চলছে। চাঁদ থেকে সংগ্রহ করা মাটির নমুনা পরীক্ষায় দেখা যাচ্ছে চাঁদে কোনোদিন ম্যাগনেটিক ফিল্ড ছিল না একথা ঠিক নয়। চাঁদ নিজেই একটি শক্তিশালী ম্যাগনেটিক ফিল্ডে সৃষ্ট। চাঁদে একসময় ম্যাগনেটিক ফিল্ড ছিলও।
সৃষ্টির প্রথম দিকে চাঁদে পৃথিবীর চেয়েও শক্তিশালী ম্যাগনেটিক ফিল্ড ছিল। ১৯৬৮-৭২ এর মধ্যে চাঁদে যাওয়া অ্যাপেলো অভিযানের মাধ্যমে পাওয়া চাঁদের বুকের মাটি পরীক্ষায় একথা জানা গেছে চাঁদে শক্তিশালী ম্যাগনেটিক ফিল্ড ছিল। তবে চাঁদের মধ্যে ম্যাগনেটিক ফিল্ডের নির্মাণ একটানা হওয়ার বদলে থেমে থেমে হয়েছে। এর ফলে সবসময় চাঁদে ম্যাগনেটিক ফিল্ড না থাকলেও কিছু সময়ের জন্যে চাঁদে মজুত ছিল শক্তিশালী ম্যাগনেটিক ফিল্ড।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty + five =